কানাইঘাটে গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মরম আলীকে আটক করেছে র্যাব-৯। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ফাতিমা বেগম হত্যার দায়ে তার স্বামী মরম আলীকে আটক করা হয়।
এর আগে কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির কালিনগর আগফৌদ গ্রামে শ্বাসরুদ্ধ করে ফাতেমা বেগমকে হত্যার ঘটনায় কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের মা কালিনগর আগফৌদ গ্রামের আব্দুল খালিকের স্ত্রী জলিকা বেগম বাদী হয়ে গত শুক্রবার এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফাতেমার স্বামী মরম আলীর নাম উল্লেখ করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
এদিকে ফাতেমা বেগম খুন হওয়ার পর থেকে তার স্বামী মরম আলী পলাতক ছিলো।
প্রসঙ্গত যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফাতেমা বেগমকে তার পিত্রালয়ে আলাদা ঘরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার করে পালিয়ে যায় তার স্বামী একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের পুত্র মরম আলী। শুক্রবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিলেট সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে। ফাতেমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং তার মুখ ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে ফাতেমা বেগমের স্বামী মরম আলী ছাড়াও আর কেউ জড়িত রয়েছেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় এক বছর পূর্বে অন্য স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে এনে ফাতেমা বেগমকে বিয়ে করে মামাতো ভাই মরম আলী। বিয়ের পর থেকে মরম আলী তার বাড়ি ছেড়ে শশুড় বাড়িতে আলাদ ঘরে ফাতেমাকে নিয়ে বসবাস করত। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকতো।