ছাতকে নিজের ছেলে পরিচয় দিয়ে শিশু পাচারের চেষ্টা

ছাতক প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের ছাতকে পর্তুগাল প্রবাসী জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নিজের ছেলে পরিচয় দিয়ে অন্যের ১৩ বছরের শিশুকে পর্তুগাল পাচারের চেষ্টা চলছে। সরেজমিন অনুসন্ধ্যানে জানা যায়। উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের গাগলাজুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী রুকন মিয়ার ছেলে ইসতিয়াক উদ্দিনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজের ছেলে পরিচয়ে পর্তুগাল নিয়ে যেতে চান পর্তুগাল প্রবাসী জামাল উদ্দিন।

জানা যায়, শিশুটিকে পর্তুগাল পাচার করতে একটি জাল জন্মনিবন্ধন ও একটি জাল পাসপোর্ট তৈরী করেছেন জামাল উদ্দিন। গাগলাজুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইসতিয়াক উদ্দিনের ভর্তি বহি অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধনে তার জন্ম তারিখ ৪ জানুয়ারী ২০০৮, পিতা রুকন মিয়া, মাতা সাজিয়া বেগম। অথচ পর্তুগাল প্রবাসী জামাল উদ্দিনের তৈরীকৃত জাল পাসপোর্টে ইসতিয়াক উদ্দিনের ভূয়া জন্ম তারিখে দেখানো হয়েছে ১১ মার্চ ২০১১ এবং পিতার নাম জামাল উদ্দিন ও মাতার নাম দিপা বেগম, ভূয়া ঠিকানা গোবিন্দপুর, জাহিদপুর। ইসতিয়াক উদ্দিনের প্রকৃত জন্ম নিবন্ধন থাকলেও অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কৌশলে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন উঠানো হয়েছে ঢাকা থেকে। যার জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১১ মার্চ ২০১১। জামাল উদ্দিনের বাড়ির প্রতিবেশিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ইসতিয়াক উদ্দিন নামে জামাল উদ্দিনের কোন ছেলে সন্তান নেই।

বিশেষজ্ঞরা জানান, বিষয়টি প্রসানিক ভাবে আমলে না নিলে এলাকায় শিশু পাচারের প্রবনতা বেড়ে যাবে। শিশুপাচারের সাথে জড়িত থাকা বাংলাদেশে অবস্থানরত ইসতিয়াক উদ্দিনের ভূয়া চাচা পরিচয়দানকারী আমির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে ইসতিয়াক উদ্দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান এলাকায় আমাদের দুষমন আছে। তাই আমাদের বিষয়ে কেউ কোন সঠিক তথ্য দিবে না। গাগলাজুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর জানান ইসতিয়াক উদ্দিন ২০১৮ সালে বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে বেরিয়ে যায়। ছাতক থানার ওসি শেখ নাযিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হলাম। শিশু পাচারের উদ্দেশ্যে এরকম ভূয়া নামে কেউ থানা ক্লিলিয়ারেন্স নিতে চাইলে আটক করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দৈনিকসিলেটেরসময়/ফ/চৌ:

Sharing is caring!