editor
প্রকাশিত: ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
অনলাইন ডেস্ক :-
পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। নতুন করে বড় অঙ্কের আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে। ক্রেতাদের একসঙ্গে বেশি করে কেনার প্রবণতাও কমে গেছে। হঠাৎ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া দর কমছে। গতকাল আরও কমেছে। বিকল্প দেশ থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আসছে। দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। ভারতের পেঁয়াজ না এলেও সমস্যা হবে না। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পেঁয়াজ আমদানিতে গতকাল শুল্ক্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে দাম আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক দিনে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছে। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় পরদিনই বাজার অস্থিরতা কমে দামে লাগাম টানে। এর পর থেকে ধীরে ধীরে দাম কমছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সীমান্তে আটকে থাকা পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত শনিবার এক দিনেই প্রায় দেড় হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসে। একই সময়ে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি তুরস্ক থেকে আগে এলসি করা পেঁয়াজও দেশে এসেছে। চীন, মিসর, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা এক লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ আসা প্রক্রিয়াধীন। তা ছাড়া ভারত রপ্তানি বন্ধের আগেই টিসিবি ৩০ টাকা কেজিতে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। সংস্থাটি গতকাল ৩৬ টাকা কেজিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ঘরে পেঁয়াজ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি চালু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পেঁয়াজের এলসি মার্জিন নূ্যনতম রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বন্দরগুলোতে আমদানি পেঁয়াজ দ্রুত খালাসের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশি পেঁয়াজের মোকাম ও বাজার পর্যায়ে কারসাজি রোধে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। এসব কারণে বাজারে দাম কমে এখন স্বাভাবিক হচ্ছে।
গতকাল ‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আসছে। মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়ে গেছে। আরও অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট হবে না। ক্রেতারা অস্থির না হয়ে শুধু প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ কিনলে কোনো সমস্যা হবে না। বাজার স্বাভাবিক থাকবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় নেমেছে। দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাজারে খুচরায় গতকাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। গত মঙ্গলবার দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় ওঠে।
মিরপুর ১ নম্বর বাজারের ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ তিনি ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর দেশি পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা। দেশি ও আমদানি সব ধরনের পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। বাজারে আমদানি পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। সে অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা নেই। এতে বাজারে এখন দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে হয়ে যাচ্ছে।
শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. রাকিব হোসেন বলেন, আমদানি পেঁয়াজ আসায় বাজারে দাম কমেছে। আগাম দু’সপ্তাহে আমদানি পেঁয়াজের ঘাটতি হবে না। এই সময়ের মধ্যে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আসবে। দেশে মজুদ পেঁয়াজও মৌসুমের আগে বিক্রির জন্য এখন ছাড়ছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো হওয়ায় দাম কমছে। নতুন করে পেঁয়াজের দামে সমস্যা হবে না। আমদানি প্রক্রিয়ায় থাকা পেঁয়াজ এলে বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করেন তিনি।
আমদানি শুল্ক্ক প্রত্যাহার: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় এই মসলা পণ্য বিনা শুল্ক্কে আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পেঁয়াজের অনুৎপাদনশীল সময়ের (লিন পিরিয়ড) জন্য আমদানি শুল্ক্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পেঁয়াজচাষিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা ও আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পেঁয়াজ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক্ক আরোপ করা হয়। সম্প্রতি দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ আমদানিকারকরা শুল্ক্ক তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেন। ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে এনবিআরকে শুল্ক্ক তুলে নেওয়ার অনুরোধ করে। যদিও এনবিআর প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব নাকচ করে। এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে ১৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় আমদানি শুল্ক্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ভারত পেঁয়াজ না দিলেও চলবে: দেশি পেঁয়াজ গত মৌসুমে উৎপাদন বেড়েছে। এ কারণে এখন পর্যাপ্ত সরবরাহ হচ্ছে। আমদানি পেঁয়াজ এখন যথেষ্ট আছে। ভারতের বিকল্প দেশ থেকে আমদানি প্রক্রিয়ায় প্রায় দুই লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ রয়েছে। অনেকেই বলছেন, এখন ভারত পেঁয়াজ না দিলেও চলবে। বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাবেক বাণিজ্য সচিব ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান সমকালকে বলেন, এখন আর পেঁয়াজের দাম বাড়বে না। মিয়ানমার থেকে আসছে। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো আছে। ভারত হঠাৎ বন্ধ করায় বাজার অস্থির হলেও তা আবার ধীরে ধীরে কমেছে। এখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আসুক আর না আসুক, বাজারে সমস্যা হবে না। আমাদের চলে যাবে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। মাটি উপযোগী কৃষি গবেষণা করে উন্নত জাত উদ্ভাবন করে দ্রুত তা কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনী সমকালকে বলেন, ভারত নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে সীমান্তে আটকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু করেছে। এখন বর্ডারে প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় হয়তো দিচ্ছে না। প্রক্রিয়া শেষে আবার দেওয়া হতে পারে। কারণ, বর্ডারে থাকা পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এটি ফেরত নিয়ে আবার ভালো পেঁয়াজ দিতে পারে। তবে এর পরও ভারত পেঁয়াজ না দিলে তাতে সমস্যা হবে না। কারণ, দেশি পেঁয়াজ পর্যাপ্ত রয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে আসছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হবে না। দামও স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে, স্থলবন্দরের ওপারে আটকে থাকায় অনেক নষ্ট হয়েছে। পচে যাওয়া পেঁয়াজ এখন ফেরত যাচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান জানান, শনিবার পেঁয়াজের ট্রাক এলেও রোববার আসেনি। কবে আসবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে জানায়নি ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন জনদাবী আদায়ের লক্ষ্যে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বুধবার), দুপুর ২টায়,
‘‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সারা বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা অসহায় দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন,
সুন্নী ছাত্র আন্দোলনের দুর্বার কাফেলা বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, সিলেট নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম সংকটে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশীদের
আর্থসামাজিক উন্নয়নে সদা নিয়োজিত সামাজিক সংগঠন আধুনিক সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে লালাবাজারের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিতি সম্মাননা
সিলেট সদর উপজেলা টুকেরবাজারের জাঙ্গাইলস্থ সফির উদ্দিন হাই স্কুল এন্ড কলেজে আন্তঃহাউস বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী-২০২৫, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও
সিলেট বিভাগের ৫ ক্যাটাগরীতে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর