Daily Sylheter Somoy
প্রকাশিত: ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
সিলেটের জৈন্তাপুরে চলছে সিএনজি-অটোরিকশায় টোকেন বাণিজ্য। বৈধ-অবৈধ সিএনজি-অটোরিকশায় টোকেন বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা আদায় করছেন সিএনজি চালক সমিতি নামে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের নেতারা। ফলে প্রতি বছর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার প্রশাসনের গাফিলতির কারণে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ যান চলাচল। বন্ধ হচ্ছে না সড়ক দূঘর্টনা ও লাশের মিছিল। শ্রমিক নেতারা টোকেনের টাকার একটি বড় অংশ পুলিশের পকেটে যাওয়ার দাবি করলেও পুলিশ এসব অস্বীকার করছে।
সিএনজি-অটোরিকশা মালিকরা জানান, সিলেট-তামাবির মহাসড়কে জাফলং, তামাবিল, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর সহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন সিলেটে যাতায়াত করেন। কাগজপত্র ও ফিটনেস বিহিন সিএনজি-অটোরিকশা বর্তমানে মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপাকে পড়েন মহাসড়কের পাশের এলাকার বাসিন্দারা। অবৈধ যানবাহন রোধে দায়িত্বরত প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তি, চাঁদাবাজ ও টুকেনবাজরা এ রোডে অবৈধ যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিতে টোকেন চালু করেছে সিএনজি চালক শ্রমিক নামদারি জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের হরিপুর এলাকাধীন বালিপাড়া গ্রামের চাঁদাবাজ নূরুল হক (মেম্বার)। বিনিময়ে প্রতি মাসে অবৈধ যানবাহন থেকে কামাই করছেন লাখ-লাখ টাকা। ৫ বছর আগে হরিপুর মাছ বাজারের ব্যাগ বিক্রেতা নূরুল হক এখন কোটিপতি। তার সাথে এক শ্রেণির পুলিশের পকেটও ভারি হচ্ছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সরকার, চালক ও মালিকরা।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিলেট তামাবিল রোডে বৈধ যানবাহনের তিনগুন বেশি অবৈধ যানবাহন। যার সংখ্যা সাড়ে দুই হাজারেরও বেশি। এগুলোর মধ্যে সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় দেড় থেকে ৩ হাজার। বাদ বাকি অবৈধ লেগুনা ইমা, ও পিকাপ। এসব যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশের রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত নেই, নেই চালকদের ড্রাইভিং লইসেন্সও। শুধুমাত্র ‘পরিচিতি টুকেনই’ এসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের মূল লাইসেন্স।
শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্য মতে, সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জাফলং সহ ৩ উপজেলায় প্রায় সাড়ে দুই থেকে ৩হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনহীন। ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে মহাসড়কে সব ধরনের তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। অটোরিকশার চালকরা জানান, নিবন্ধনহীন প্রায় ২ হাজার চালককে বাধ্যতামূলক মাসিক টোকেন নিতে হয়। এভাবে প্রতিটি সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রাতি মাসে ৮শ থেকে ১হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। সে হিসেবে সাড়ে ২ হাজার সিএনজি থেকে চাঁদা তোলা হয় আরও প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা।
আরও জানা যায়, ৩ উপজেলার এসব সিএনজি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করে হরিপুর বাজার সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতি সভাপতি বালিপাড়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মনাফ ওরফে গাছ মনাফের পুত্র নূরুল হক মেম্বার। নূরুল হক এর সাথে আর কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ সাধারণ চালকরা। নূরুল হক ওরফে মেম্বার নিজেকে অবৈধ ও রেজিস্ট্রিবিহীন সিএনজি অটোরিক্সার লাইসেন্স দাতা দাবি করে থাকে। ভূয়া ও বেআইনী টুকেন দিয়ে এ রোডে সিএনজি অটোরিক্সার অবৈধ চলাচল ও যাত্রীবহন চালু করে রেখেছে। তার দেয়া শ্রমিক টুকেন গাড়ির গ্লাসে লাগানো থাকলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের কোন সংস্থাই এ গাড়ি আটকায় না। নূরুল হকের দেয়া টুকেন দেখলে পুলিশ গাড়ি না আটকালেও পুলিশ স্বীকার করে না এ টুকেন তাদের। নূরুল হক নিজেকে ১৭ পরগনা তথা জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাট এই তিন উপজেলার সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সভাপতি দাবি করে থাকে। অথচ অনুসন্ধানে সে পরিবহন সেক্টারের কোন সংগঠনের বৈধ সভাপতি কিংবা দায়িত্বশীলও নয়। একটি লাঠিয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাহাজানি করে অবৈধ যানবাহন থেকে জোর করে আদায় করে থাকে সে। এমনকি টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে টুকেন না নিয়ে কোন গাড়ি পাম্প থেকে তেল-গ্যাসও নিতে পারে না। নূরুল হক নিজেকে মালিক সমিতির সভাপতি ও নিজেকে পুলিশ-প্রশাসনের এজেন্ট দাবি করে থাকে। এ দাবিতে জৈন্তাপুর উপজেলা হরিপুর বাজারে একটি অফিস খোলে দেদারছে চাঁদাবাজি ও টুকেন বানিজ্য করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। নূরুল হক সব সময় বলে বেড়ায় সে প্রশাসক সহ প্রশাসনের সব সেক্টরে এ টাকার ভাগ দিয়েই টুকেন ব্যবসার অনুমতি নিয়েছে। তাই তার দেয়া পরিচিতি টুকেন নিতে পারলেই সিলেট-তামাবিল, সিলেট জাফলং ও সিলেট-কানাইঘাট রোডে যানবাহন চালাতে হবে। অন্যথায় কেউই কোন প্রকার গাড়ি চালাতে পারেবে না বলে জানায় সে। তবে অবৈধ টুকেন বানিজ্যে নূরুল হক একা নয়, এ কাজে তার সহযোগী রয়েছে আরো কয়েকজন।
নূরুল হক জানান, রেজিস্ট্রেশনকৃত অটোরিকশা গুলো মহাসড়ক পারাপারে পুলিশি হয়রানির শিকার থেকে বাঁচতে টোকেন ব্যবহার করছে। প্রত্যেক বাজারে বাজারে আমাদের সমিতির সভাপতি আছে তাদের মাধ্যমে এই টুকেন বিক্রয় করি। সে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমার সাথে সদর উপজেলার একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ অনেক প্রভাবশালীরা রয়েছেন। তিনি সিলেটের অনেক দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের মালিক দাবি করে বলেন আপনারা পত্রিকায় লিখে কি করবেন। আমার কিছুই করতে পারবেন না।
সিলেট তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ এসব টোকেন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করে বলেন, আমরা এসবের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছি।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগর শাখার ২০২৪-২০২৫ সালের কার্যকরী কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদের
সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নীরাজ কুমার জয়সাওয়াল বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক নয়। আমাদের দুদেশের সম্পর্ক
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে অবৈধভাবে আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে নিয়ে আসা ৬ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা
গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী বলেছেন, প্রয়াত কমরেড ধীরেন সিংহ ছিলেন একজন আদর্শিক নেতা। তিনি বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। বুধবার
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফসর খাঁন, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান,