editor
প্রকাশিত: ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের জৈন্তাপুরে চলছে সিএনজি-অটোরিকশায় টোকেন বাণিজ্য। বৈধ-অবৈধ সিএনজি-অটোরিকশায় টোকেন বিক্রি করে প্রতি মাসে ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা আদায় করছেন সিএনজি চালক সমিতি নামে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের নেতারা। ফলে প্রতি বছর রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার প্রশাসনের গাফিলতির কারণে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ যান চলাচল। বন্ধ হচ্ছে না সড়ক দূঘর্টনা ও লাশের মিছিল। শ্রমিক নেতারা টোকেনের টাকার একটি বড় অংশ পুলিশের পকেটে যাওয়ার দাবি করলেও পুলিশ এসব অস্বীকার করছে।
সিএনজি-অটোরিকশা মালিকরা জানান, সিলেট-তামাবির মহাসড়কে জাফলং, তামাবিল, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর সহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন সিলেটে যাতায়াত করেন। কাগজপত্র ও ফিটনেস বিহিন সিএনজি-অটোরিকশা বর্তমানে মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে বিপাকে পড়েন মহাসড়কের পাশের এলাকার বাসিন্দারা। অবৈধ যানবাহন রোধে দায়িত্বরত প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তি, চাঁদাবাজ ও টুকেনবাজরা এ রোডে অবৈধ যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিতে টোকেন চালু করেছে সিএনজি চালক শ্রমিক নামদারি জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের হরিপুর এলাকাধীন বালিপাড়া গ্রামের চাঁদাবাজ নূরুল হক (মেম্বার)। বিনিময়ে প্রতি মাসে অবৈধ যানবাহন থেকে কামাই করছেন লাখ-লাখ টাকা। ৫ বছর আগে হরিপুর মাছ বাজারের ব্যাগ বিক্রেতা নূরুল হক এখন কোটিপতি। তার সাথে এক শ্রেণির পুলিশের পকেটও ভারি হচ্ছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সরকার, চালক ও মালিকরা।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিলেট তামাবিল রোডে বৈধ যানবাহনের তিনগুন বেশি অবৈধ যানবাহন। যার সংখ্যা সাড়ে দুই হাজারেরও বেশি। এগুলোর মধ্যে সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় দেড় থেকে ৩ হাজার। বাদ বাকি অবৈধ লেগুনা ইমা, ও পিকাপ। এসব যানবাহনের মধ্যে অধিকাংশের রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত নেই, নেই চালকদের ড্রাইভিং লইসেন্সও। শুধুমাত্র ‘পরিচিতি টুকেনই’ এসব যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের মূল লাইসেন্স।
শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্য মতে, সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জাফলং সহ ৩ উপজেলায় প্রায় সাড়ে দুই থেকে ৩হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনহীন। ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে মহাসড়কে সব ধরনের তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। অটোরিকশার চালকরা জানান, নিবন্ধনহীন প্রায় ২ হাজার চালককে বাধ্যতামূলক মাসিক টোকেন নিতে হয়। এভাবে প্রতিটি সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রাতি মাসে ৮শ থেকে ১হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। সে হিসেবে সাড়ে ২ হাজার সিএনজি থেকে চাঁদা তোলা হয় আরও প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা।
আরও জানা যায়, ৩ উপজেলার এসব সিএনজি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করে হরিপুর বাজার সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতি সভাপতি বালিপাড়া গ্রামের মরহুম আব্দুল মনাফ ওরফে গাছ মনাফের পুত্র নূরুল হক মেম্বার। নূরুল হক এর সাথে আর কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ সাধারণ চালকরা। নূরুল হক ওরফে মেম্বার নিজেকে অবৈধ ও রেজিস্ট্রিবিহীন সিএনজি অটোরিক্সার লাইসেন্স দাতা দাবি করে থাকে। ভূয়া ও বেআইনী টুকেন দিয়ে এ রোডে সিএনজি অটোরিক্সার অবৈধ চলাচল ও যাত্রীবহন চালু করে রেখেছে। তার দেয়া শ্রমিক টুকেন গাড়ির গ্লাসে লাগানো থাকলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের কোন সংস্থাই এ গাড়ি আটকায় না। নূরুল হকের দেয়া টুকেন দেখলে পুলিশ গাড়ি না আটকালেও পুলিশ স্বীকার করে না এ টুকেন তাদের। নূরুল হক নিজেকে ১৭ পরগনা তথা জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাট এই তিন উপজেলার সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সভাপতি দাবি করে থাকে। অথচ অনুসন্ধানে সে পরিবহন সেক্টারের কোন সংগঠনের বৈধ সভাপতি কিংবা দায়িত্বশীলও নয়। একটি লাঠিয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাহাজানি করে অবৈধ যানবাহন থেকে জোর করে আদায় করে থাকে সে। এমনকি টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে টুকেন না নিয়ে কোন গাড়ি পাম্প থেকে তেল-গ্যাসও নিতে পারে না। নূরুল হক নিজেকে মালিক সমিতির সভাপতি ও নিজেকে পুলিশ-প্রশাসনের এজেন্ট দাবি করে থাকে। এ দাবিতে জৈন্তাপুর উপজেলা হরিপুর বাজারে একটি অফিস খোলে দেদারছে চাঁদাবাজি ও টুকেন বানিজ্য করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। নূরুল হক সব সময় বলে বেড়ায় সে প্রশাসক সহ প্রশাসনের সব সেক্টরে এ টাকার ভাগ দিয়েই টুকেন ব্যবসার অনুমতি নিয়েছে। তাই তার দেয়া পরিচিতি টুকেন নিতে পারলেই সিলেট-তামাবিল, সিলেট জাফলং ও সিলেট-কানাইঘাট রোডে যানবাহন চালাতে হবে। অন্যথায় কেউই কোন প্রকার গাড়ি চালাতে পারেবে না বলে জানায় সে। তবে অবৈধ টুকেন বানিজ্যে নূরুল হক একা নয়, এ কাজে তার সহযোগী রয়েছে আরো কয়েকজন।
নূরুল হক জানান, রেজিস্ট্রেশনকৃত অটোরিকশা গুলো মহাসড়ক পারাপারে পুলিশি হয়রানির শিকার থেকে বাঁচতে টোকেন ব্যবহার করছে। প্রত্যেক বাজারে বাজারে আমাদের সমিতির সভাপতি আছে তাদের মাধ্যমে এই টুকেন বিক্রয় করি। সে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমার সাথে সদর উপজেলার একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ অনেক প্রভাবশালীরা রয়েছেন। তিনি সিলেটের অনেক দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের মালিক দাবি করে বলেন আপনারা পত্রিকায় লিখে কি করবেন। আমার কিছুই করতে পারবেন না।
সিলেট তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ এসব টোকেন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করে বলেন, আমরা এসবের বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছি।
সিলেটের বালাগঞ্জে এক প্রবাসী নারীর জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত
# তরুণদের পরিবারের পাশাপাশি দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য তরুণদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে
সিলেটের সময় :: সিলেট মানবতার সেবায় নিবেদিত সামাজিক সংগঠন Orphan in Action-এর উদ্যোগে শুক্রবার সিলেট মহানগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড, জালালাবাদ
সিলেটে এস.এস.সি-২০০৪ ও এইচ.এস.সি-২০০৬ ব্যাচের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল সিজন-৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪মার্চ) সিলেটের লামাবাজার রয়েল সেফ চাইনিজ
সিলেটের সময় :: চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ধূমারপাড়া আনন্দ বিহার’র বিশিষ্ট উপাসক প্রিয় রঞ্জন বড়ুয়া ও ত্বদীয় সহধর্মিণী রেণু প্রভা বড়ুয়া’র
রোটারি ক্লাব অব সিলেট প্যারাডাইস এর উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সিলেট
সিলেট নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ড এর বরইকান্দি ৩নং রোডের সুরুজ মিয়ার উত্তরাধিকারী প্রায় শতাধিক প্রবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে “সুরুজ মিয়া’র
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (পিপিএম সেবা) মো. রেজাউল করিম বলেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে অপরাধমূলক কার্যক্রমের প্রতিরোধে সহায়তা পাওয়া যাবে