ডেস্ক রিপোর্ট
পঁচিশটি বন্ধ পাটকল অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু, আধুনিকায়ন, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ ১৪ দফা দাবিতে খুলনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (ডিসি অফিস) ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ।
রবিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করে তারা।
কর্মসূচিতে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতারা জানান, বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশের (বিজেএমসি) দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে পাটকলে লোকসান হয়েছে। লুটপাটের কারণেই পাটকল ও শিল্প আজ ধ্বংসের পথে। অথচ বিজেএমসির দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে সৃষ্ট লোকসানের দায় সাধারণ পাটকল শ্রমিকদের ওপর চাপাচ্ছে সরকার। দুর্নীতিবাজদের অন্যায় শাস্তির ফল ভোগ করছেন শ্রমিকেরা। অবিলম্বে পাটকল চালুর দাবি জানান তারা।
তারা আরও জানান, করোনার মহামারিতে সরকারি পাটকল বন্ধ করে দেয়ায় অনেক শ্রমিকের জীবন চলছে পেশা বদলে মানবেতরভাবে। কর্মহারা এই সব শ্রমিকদের কেউ কেউ সহজ পেশা হিসেবে রিকশা চালাচ্ছেন। কেউবা ফল বিক্রেতা কিংবা নির্মাণ শ্রমিকের কাজেও নেমেছেন। আর এখনও কাজ জোগাড় করতে না পেরে অনেকে বেকার জীবন পার করছেন।
গণ সংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য মুনীর চৌধুরী সোহেল জানান, বিজেএমসি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি ও ভ্রান্তনীতির কারণে পাটশিল্পে লোকসান হচ্ছে। লোকসানের এই দায় নিষ্ঠুরভাবে শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাদের অন্যায় দুর্নীতির ফল আজ শ্রমিকদের ভোগ করতে হচ্ছে। নিষ্ঠুর এ খেলা বন্ধ করতে হবে। লুটপাতের এ সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। ২৫টি পাটকল বন্ধ করা সরকারের সিন্ধান্ত। সরকার পাটকল বন্ধের জন্য এই করোনা কালকে বেছে নিয়েছে। যাতে শ্রমিকরা আন্দোলন করতে না পারে।
এ সময় তিনি দ্রুত বন্ধ পাটকলগুলো চালুর দাবি জানান।