editor
প্রকাশিত: ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধি
কখনও তাহমিনা, কখনো তামান্না ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচয়ে প্রবাসী যুবকদের সাথে প্রেমই তার নেশা, মিষ্টি কথার জাদুতে মানুষ ঠকানোকে তার পেশা। তার রয়েছে নিজস্ব সিন্ডিকেট। তাদের কাজ হলো প্রবাসীদের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। তারা সিলেটের বিভিন্ন জায়গা বাসা ভাড়া নেয়। পরে টার্গেট করে প্রবাসীদের। আরা টার্গেটে সঙ্গে প্রতারণা করে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিলে ওই এলাকা থেকে সটকে পড়ে তারা। এই সিন্ডিকেটের প্রতারণার শিকার হয়েছেন সম্প্রতি মালেশিয়া প্রবাসী সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়ার আব্দুল খালিক চৌধুরীর ছেলে আরিয়ান চৌধুরী টিপন।
জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়ার বাহুবল গ্রামের আমিনুর রহমান ও হেনা বেগমের মেয়ে সাবিনা আহমদের স্বামী রাসেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকার সুবাদে সাবিনা ও তামান্নার পরিবারের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে মালেশিয়া প্রবাসী আরিয়ান চৌধুরী টিপনের।
রাসেল ও তার স্ত্রী সাবিনার মধ্যে সবসময় ঝগড়া লেগে থাকত। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্কে শেষের পথে ছিল। ঠিক তখন টিপন তাদের সমস্যা সমাধান করে দেন। সেই সুবাদে এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে সখ্যতা শুরু হয় প্রবাসী টিপনের।
একদিন হঠাৎ সাবিনা প্রবাসী আরিয়ান চৌধুরী টিপনকে তার বোন তামান্নাকে বিয়ের করার প্রস্তাব দেন। সরল মনে প্রস্তাবে সায় দেন টিপন। তারপর থেকে টিপন ও তামান্নার সম্পর্কের শুরু হয়। লাস্যময়ী তামান্না তার রূপ ও মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে টিপনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি করেন। টিপন ও তামান্নার মধ্যের সম্পর্ক একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো রূপ নেয়।
লাস্যময়ী তামান্না ও তার চক্ররা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রবাসী টিপনকে টার্গেট বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা চাইতে শুরু করে।
তামান্নার বোন সাবিনা স্বামী রাসেলের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দেন আরিয়ান চৌধুরী টিপন। হঠাৎ তামান্না ও তাদের চক্রের কথাবার্তা ও চালচলনে সন্দেহ হয় টিপনের। তিনি তখন বুঝতে পারেন যে তাকে প্রতারিত করা হয়েছে। তিনি তামান্না ও তাদের পরিবারের সকলের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের ফোন বন্ধ পান এবং তিনি জানতে পারেন যে তিনি যাকে তামান্না হিসেবে জানেন সে আসলে তামান্না নয় তাহমিনা।
এই প্রতারকচক্র বর্তমানে খাদিমপাড়ার ১ নম্বর রোডে একটি বাসায় থেকে তাদের প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, লাস্যময়ী তামান্নার প্রকৃত নাম তাহমিনা। তিনি ও তার বড় বোন একটি সঙ্গবন্ধ প্রতারক চক্র তৈরি করে সারা সিলেটজুড়ে রয়েছে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছেন। তাদের কাজ হচ্ছে প্রবাসীদের বিভিন্ন ধরণের লোভ লালসা দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ।
এ ব্যাপারে প্রবাসী আরিয়ান চৌধুরী টিপনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান ভাই আমার তিল তিল করে জমানো টাকা আমি তামান্না ও তার পরিবারকে দিয়েছি। কিন্তু তারা যে প্রতারকচক্র তা আমি জানতাম না। এভাবে আর কোনো প্রবাসী যেন এই প্রতারকচক্রের ফাঁদে পা না দেয় তার জন্য আমি প্রশাসন ও বিভিন্ন মহলের নিকট বিচার দাবি করছি।
এদিকে প্রতারক তামান্না চক্রের একাধিক মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাদের কারো সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তামান্নার বড় বোনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রং নাম্বার বলে কেটে দেন।
এ বিষয়ে আরিয়ান চৌধুরী টিপনের বন্ধু রাসেলের সঙ্গে আলাপ হলে তিনি তিনি টিপনকে চিনেন কিন্তু তার শ্যালিকা ও স্ত্রীকে চেনেন না বলে ফোন কেটে দেন।
প্রতারক তাহমিনা ও তার সিন্ডিকেটের বিভিন্ন ভিডিও, ফোনালাপ, ছবি সিলেটের হালাচাল ও দৈনিক সিলেটে সময় কৃর্তপক্ষের কাছে রয়েছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা বিএনপির প্রাণের স্পন্দন, শহিদ জিয়াকে অবমাননা করা কোনভাবেই বিএনপি ছেড়ে দেবেনা। সবাইকে এখন থেকে সচেতন থাকতে হবে। সোশ্যাল
নবগঠিত মদন মোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আনন্দ শোভাযাত্রা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে রিকাবীবাজার পয়েন্ট হয়ে
সিলেটের কাজিরবাজার এলাকায় ঘরোয়া হোটেলের কর্মচারী রুমন মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্ট- ১৯৩৩ এর
গোপন তৎপরতায় অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির
বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রিন্স সালাম মুকিতকে সংবর্ধনা প্রদান। সোমবার
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মরহুম আশরাফ উদ্দিন জুয়েলের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সরকারের ভেতরে আওয়ামী দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্বরত শিক্ষকদের সংগঠন “মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ” মৌলভীবাজার জেলা কমিটি