editor
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনায় দীর্ঘদিন থেকেই স্থবির মাঠের রাজনীতি। করোনাকেন্দ্রিক কার্যক্রমের বাইরে সীমিত পরিসরে দলীয় কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ ছিল আওয়ামী লীগ। ধীরে ধীরে দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করছে ক্ষমতাসীন দল। এতোদিন ভার্চ্যুয়ালি দলীয় কার্যক্রম চললেও এখন থেকে মাঠের কর্মসূচি জোরদারের চিন্তা চলছে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। ভার্চ্যুয়ালি কার্যক্রম চলায় নেতাদের সঙ্গে নেতাদের সামনাসামনি যোগাযোগ হচ্ছে একেবারেই কম। আবার নেতাদের সঙ্গে কর্মী সমর্থকদের সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে না বললেই চলে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন তারা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় ঝিমিয়েপড়া সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছেন তারা। এজন্য কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার পাশাপাশি জেলা সফরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গত নির্বাচনের আগে যেভাবে বিভাগ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এবারো একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, করোনার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম খুবই সীমিত আকারে পরিচালনা করা হয়েছে। এবার বৃহৎ পরিসরে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিশেষ করে কমিটিগুলো গঠনের পর দলীয় যেসব কর্মসূচি আসবে সেগুলো যথাযথভাবে পালন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, করোনা পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেনো আমাদের অনুকূলে থাকে সে কারণে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে। বিএনপিসহ অন্য কোনো দল যেনো দেশে রাজনৈতিকভাবে অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে আওয়ামী লীগের। এদিকে সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ায় এখন ধাপে ধাপে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। গত সপ্তাহে দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, করোনার মধ্যে সবার সঙ্গে আমার দেখা হচ্ছে না। তবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সীমিত আকারে বারবার মিটিং করবো। প্রথমে একটা প্রেসিডিয়াম মিটিং করবো, এরপরে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং করবো, তারপরে উপদেষ্টা পরিষদের মিটিং করবো। সংসদ অধিবেশন শেষ করে আলাদা আলাদা করে এই মিটিংগুলো করবো। এদিকে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সর্বশেষ বৈঠকে সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা তুলে ধরার পাশাপাশি কীভাবে তা কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন নেতারা। এ প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। যেসব জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রত্যেক সম্পাদককে চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে। ওদিকে বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও বার্তায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়ভিত্তিক দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রত্যেকের যার যার বিষয়ভিত্তিক দায়িত্বটা পালন করা দরকার। নির্বাচনী ইশতেহারে যে ঘোষণাগুলো দিয়েছি, তা বাস্তবায়নে যে কৌশল নেয়া হয়েছে, তা যথাযথ কিনা, তা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, সেগুলো আলোচনা করা উচিত। যেহেতু আমরা সরকারে আছি সেহেতু কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আমরা নতুন করে গ্রহণ করেছি। যেটা প্রথমবার নিয়েছিলাম ২০১০ থেকে ২০২০ এই ১০ বছর মেয়াদি। এবার গ্রহণ করেছি ২০২১ থেকে ২০৪১ পর্যন্ত, আমরা বাংলাদেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের দেখা উচিত, কার কী ইস্যু আছে তা বুঝে নিয়ে কাজ করা উচিত। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে থমকে যাওয়া সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। করোনার কারণে অনেক জায়গায় সম্মেলন হলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। এখন সেগুলো পূর্ণাঙ্গ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিকে উপ-কমিটিতে যেন কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারী বা বিতর্কিতদের স্থান না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে নেতাদের। কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, উপ-কমিটিগুলোতে অনুপ্রবেশকারী বা বিতর্কিতদের স্থান হলে এর জন্য কমিটির সংশ্লিষ্ট নেতাকে দায়ভার নিতে হবে। সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় উপস্থিত কয়েকজন নেতা জানান, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আগেও একাধিকবার এসব বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
দলের পক্ষ থেকে নেতাদের বলা হয়েছে, যদি কোনো বিতর্কিত, হাইব্রিড বা অনুপ্রবেশকারী এসব কমিটিতে স্থান পায়, তাহলে তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতাদের বহন করতে হবে। আর এবার কমিটি জমা দিলেই অনুমোদন পাবে না, দলীয় সভাপতি যাচাই-বাছাই করে এসব কমিটি অনুমোদন দেবেন। তার কাছে যাওয়া তালিকাতেও অনুপ্রবেশকারীদের নাম থাকলে সংশ্লিষ্ট নেতাকে জবাবদিহি করতে হবে। দলে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ বন্ধ করতেই দলীয় সভাপতি পর্যন্ত উপ-কমিটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াটি গড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে ভাবনা বিএনপিতে
এদিকে করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক মাস স্থবির ছিল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। মহামারির মধ্যেই জীবন-জীবিকার তাগিদে স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনযাত্রা। স্থবির হয়ে থাকা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও সচল হচ্ছে ধীরে ধীরে। এ অবস্থায় রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। দলীয় কার্যালয়ে বাড়ছে নেতাকর্মীদের ভিড়। এরইমধ্যে গত ১লা সেপ্টেম্বর ৪৩ বছরে পা দিয়েছে দলটি। গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময় পার করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই সংকট কাটিয়ে সামনে কীভাবে মাঠের কর্মসূচিতে দলটি সক্রিয় হবে তা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও দলটির নেতাদের দাবি এই মুহূর্তে দলীয় কোনো সংকট নেই। দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে এটি সরকারের সৃষ্ট। সরকারি দমনপীড়নের কারণে দল হিসেবে বিএনপি কোণঠাসা অবস্থায় আছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় নিয়েও নিজেদের কৌশল নির্ধারণ এখন বিএনপি’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জোটগুলো সক্রিয় রাখলে সামনে কি করণীয়, জোটের কৌশল এবং কর্মসূচি নির্ধারণ করাকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের পর থেকে এই জোট অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। এ ছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপি’র সম্পর্ক নিয়েও নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জোটগত বা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কোনো কর্মসূচিও নেই বিএনপি’র। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ উপনির্বাচনগুলোতে বিএনপি গেলেও অংশ নেয়নি জামায়াত। সম্প্রতি বিএনপি জামায়াত ছেড়ে দিচ্ছে এমন খবরও চাউর হয়েছে। বিএনপির তৃণমূল নেতাদের দাবি বিএনপি তাদের আগের জৌলুসে ফিরে আসতে হলে নিজেদের বলয়েই ফিরে আসতে হবে। এজন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কঠোর এবং গঠনমূলক কর্মসূচি দেয়ার দাবি আসছে তৃণমূল থেকে।
বিএনপি’র নেতাদের দাবি, শর্ত সাপেক্ষে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও রয়েছেন দেশের বাইরে। সরকারের দমন-পীড়নের কারণে যেখানে তারা রাস্তায় নামতে পারছেন না, সেখানে আন্দোলন গড়ে তুলবেন কীভাবে? তবে তারা বিশ্বাস করেন জেল-জুলুমের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই বিরোধী দলকে আন্দোলন করতে হবে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপিকে একইসঙ্গে কয়েকটি সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই সমস্যাগুলোকে বাস্তবসম্মত উপায়ে সমাধান করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ ছাড়া দলের গতানুগতিক রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেই তাদের এগিয়ে যেতে হবে বলে মনে করছেন দলের সিনিয়র নেতারা। দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি কেমন হবে এমন প্রশ্নে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, অবশ্যই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দলীয় কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। দল হিসেবে বিএনপি অবশ্যই সামনে এমন চিন্তা করবে। করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়া দলীয় কর্মসূচিতে গতি আনতে পরিকল্পনা হচ্ছে জানিয়ে নেতারা বলেছেন, করোনা পরবর্তী রাজনীতি আগের সময়ের মতো হবে না এটাই তারা মনে করছেন।
সম্প্রতি এক ভার্চ্যুয়াল আলাচনায় বিএনপি’র রাজনীতি নতুন করে সাজানোর কথা বলেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিএনপি’র রাজনীতিকে নতুন করে সাজাতে হবে। বিশ্ব রাজনীতি এখন চেঞ্জ হয়েছে। এগুলো এড্রেস করেই আমাদের এগোতে হবে।
রাজনীতির ইতিহাসে বিএনপি তিন দফায় ক্ষমতায় ছিল। প্রথম দফায় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল। দ্বিতীয় দফায় ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল। তৃতীয় দফায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। অনেকেই মনে করেন, আশির দশকে বিরোধী দলে থাকতেই বিএনপি সুবর্ণ সময় পার করেছে। এমনকি ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদেও বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যকর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালের পর দলটি সেই ভূমিকা পালন করতে পারছে না কৌশলগত কারণে। দলটির শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, দলীয় সমর্থন, কর্মী সমর্থকদের দিক দিয়ে বিএনপি আগের চেয়েও এখন সুসংহত অবস্থায়ই আছে। তবে দলীয় কৌশল, নীতি নির্ধারণের দুর্বলতার কারণে তারা বার বার পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
এদিকে দলের ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকটি পদই অনেক দিন ধরে শূন্য রয়েছে। অধিকাংশ জেলা এবং মহানগরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ প্রায় সব সহযোগী সংগঠন অনেকটাই অগোছালো। বর্তমানে দলের কার্যক্রম সীমিত রয়েছে নেতাদের টুকটাক বক্তৃতা আর রোজকার প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি দলগতভাবে অনেকটাই শক্তিশালী। তবে যখন কোনো আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয় আসে তখনই আমরা একমত হতে পারি না। আর একমত না হলে আন্দোলন কীভাবে হবে? তৃণমূলের নেতারা সব সময় বলে কেন্দ্র থেকে কর্মসূচি দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা সেটা দিতে পারছি না।
দলের সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বড় একটি দল। গত এক দশক ধরে বিভিন্নভাবে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সরকারের রোষানলের শিকার। সারা দেশে আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের নামে রয়েছে অংসখ্য মামলা। তারপরেও আমরা আমাদের লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম সংগঠক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপি’র রাজনৈতিক কৌশল মূল্যায়ন করে বলেন, বিএনপি কোনো রাজনীতিই করছে না। বিএনপি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। খালেদা জিয়াকেও লুকিয়ে রেখেছে। খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছে এই জন্য। কিন্তু তিনি ঘরোয়া মিটিং তো করতে পারবেন। উনি দলের নেতাদের তো পরামর্শ দিতে পারেন। এখনো যদি বিএনপি কিছু না করে তাহলে এই দলের সামনে বড় দুর্যোগের সময় অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, বিএনপি’র গতানুগতিক রাজনীতি থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। বিএনপি’র রাজনৈতিক পলিসি পরিবর্তন করতে হবে। সংসদে বিএনপি’র এমপিদের জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিতে হবে। বিএনপি’র উচিত দলের কাউন্সিল করা। তরুণ নেতাদের দলে পদায়ন করা। বুড়োরা তো অনেকদিন রাজনীতি করেছে। যদিও আমি তাদের বাদ দিতে বলছি না।
বড়লেখা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় জরায়ু ক্যান্সার এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা নিশ্চিত করার জন্য ও প্রতিরোধ জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলার
আশফাক আহমদ, বড়লেখাঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও
সিলেট জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মানিকের মাতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের উদ্যোগে নগরীতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বেরা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার
সিলেট জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মানিক এর মাতা মোছাঃ আমিনা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া
দুই মাসের আন্দোলনে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়নি। গত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করে স্বৈরাচার পতনের ভিত্তি তৈরি করেছে বিএনপি। যার
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:: সিলেটের জৈন্তাপুরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ওই কিশোরীর নাম আন্জুমান আক্তার সাথী
লাখাই প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হান্নান ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২