editor
প্রকাশিত: ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২০
তানিয়া খাঁনম
মহামারীর দিনে এবারের দুর্গোৎসবে সেই আড়ম্বর আর থাকছে না, মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় এই উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকবে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। মহামারীতে রঙ হারাচ্ছে দুর্গোৎসবও।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। আগামী ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দুর্গা পূজা। ফলে এখন সিলেটের মণ্ডপগুলোতে চলছে ব্যতিক্রমী প্রস্তুতি। আর প্রতিমা শিল্পীরা ব্যস্ত মূর্তি তৈরির কাজে। ২৬ নির্দেশনা নিয়ে সিলেটে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকরা। এবারের দুর্গোৎসব হবে সম্পন্ন অন্যরকম স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালিত হবে এবারের দুর্গোৎসব। গতকাল নগরীর ঘুরে দেখা যায়, চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। মণ্ডপের সাজসাজ্জ্বায় বিরামহীন পরিশ্রম করছেন কর্মীরা। স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে পূজা মণ্ডপের সামনে বসানো হচ্ছে হাত দোয়া ও সুরক্ষা সামগ্রী। দম ফেলবার ফুসরত নেই প্রতিমা শিল্পীদেরও। সিলেটের দাড়িয়া পাড়া এলাকায় প্রতিমা তৈরি করেন বেশ ক’জন শিল্পী। ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। ছোট বড় নানা আকারের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে সেখানে। একদিকে চলছে প্রতিমায় মাটির প্রলেপ দেয়ার কাজ অপর দিকে শিল্পির তুলির আচরে রঙ্গিন হয়ে উঠছে প্রতিমাগুলো।
তারা জানান, চার পুরুষ ধরে পূজার প্রতিমা করে আসছেন তারা। তাদের তৈরি প্রতিমা সিলেট বিভাগের নানা জায়গায় যায়। নন্দ আয়োজকদের বাজেট অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করে থাকি আমরা। প্রতিমার মধ্যে আছে দুর্গা, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর, মহিষ, সিংহের মৃন্ময় মূর্তি।
এখানকার প্রতিমা শিল্পীরা জানান, প্রতিমা তৈরিতে ব্যাবহার করেন এঁটেল মাটি, বাঁশ, কাঠ, খড়, কাঠ ও বাঁশের কঞ্চি সুতলি। তার তৈরি প্রতিমা সিলেটের জকিগঞ্জ, ঢাকা দখহিন, কুলাউরা পুজা মন্ডপে ক্রেতারা নিয়ে থাকেন। এবারের দুর্গাপূজা উপলক্ষে চৈত্র মাস হতে কাজ করছেন। তৈরি করেছেন পঁয়তাল্লিশ মূর্তি। বেশিভাগই ইতিমধ্যে নিয়ে গেছেন পূজার আয়োজকরা।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলছেন, সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার পালিত হবে উৎসব।
এর আগে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে জোরদার। সিলেটে পূজা মন্ডপগুলয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ব্যবস্থা, সিসিটিভি স্থাপন করাসহ প্রতিটি মন্ডপে আগুন নিয়ন্ত্রক সিলিন্ডার রাখাসহ নানা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি গত বুধবার এ সংক্রান্ত ২৬ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছেন সারা দেশে পূজা উদযাপন পরিষদ, মন্দির ও পূজা কমিটির কাছে। হিন্দু আচার অনুযায়ী, মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা- এই তিন পর্ব মিলে দুর্গোৎসব। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আশ্বিন মাসের এই শুক্ল পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের শুরু হয় যে অমাবস্যায়, সেদিন হয় মহালয়া; সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সেদিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দেবী দুর্গা।
২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন, দেবীর ঘুম ভাঙানোর বন্দনা পূজা। পরদিন সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
পূজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহালয়ার আয়োজন এবার হবে সীমিত আকারে, প্রতিটি কাজে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য বিধি।
প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভক্ত-পূজারি ও দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা, সকলে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, দর্শনার্থীদের মধ্যে ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, পূজামণ্ডপে নারী-পুরুষের যাতায়াতের আলাদতা ব্যবস্থা করা, বেশি সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখার কথা বলা হয়েছে এসব নির্দেশনায়।
সারা দেশে পূজা কমিটিগুলোকে বলা হয়েছে, ‘সন্দেহভাজন’ দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখতে হবে। আতসবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। পূজামণ্ডপে রাখতে হবে সিসি ক্যামেরা।
ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য কোনো গান যেন বাজানো না হয়, মাইক বা পিএ সেট যেন ব্যবহার করা না হয়, পূজামণ্ডপে ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত দীর্ঘ সময়’ কোনো দর্শনার্থী যেন না থাকে এবং সন্ধ্যার বিরতির পর দর্শনার্থীদের প্রবেশে যেন নিরুৎসাহিত করা হয়- সেসব বিষয়ও আছে নির্দেশনায়।
এছাড়া সব ধরনের আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিহার করা, সম্ভব হলে বাসা/বাড়িতে থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভক্তদের অঞ্জলি দেওয়া, খোলা জায়গার অস্থায়ী প্যাণ্ডেলে স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলা, প্রশাসন, আইন শৃপখলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মণ্ডপকেন্দ্রিক ‘শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি’ গঠন, গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা এবং প্রতিমা নিরঞ্জনে শোভাযাত্রা পরিহার করার নির্দেশনা রয়েছে ২৬ দফার মধ্যে।
এবার পূজার অনুষ্ঠানমালা শুধু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ১১ অগাস্ট হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব জন্মাষ্টমীও হয়েছে সীমিত পরিসরে, কোনো ধরনের শোভাযাত্রা ছাড়াই।
কোভিড-১৯ রোগ ছোঁয়াচে হওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, ভিড় এড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে এবার বাংলা নববর্ষ এবং ঈদেও উৎসবের আমেজ ছিল না।
কখনো শফিকুর রহমানের ঘনিষ্ট কখনো হাবিবুর রহমানের ভাগ্না পরিচয়ে গত ১৬ বছর রাগিব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, পতিত আওয়ামীলীগ দেশের
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের কাজিরখলা এলাকায় অবস্থিত সিলেট পলিটেকনিক্যালের ৭০ বছরের পুরাতন দেয়াল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে
অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। না হলে আন্দোলনে নামার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীটুলা এলাকার কৃতিসন্তান মাহমুদুর রহমান।
শ্রমিক মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার পরামর্শ পরিষদের ১ম অধিবেশন রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৩টায় সিলেট নগরীর হাওয়াপাড়াস্থ একটি
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত নয়, সংস্কার চাই”- এই দাবিকে সামনে রেখে সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সোমবার (১৯ মে)
শাহপরান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তর্গত ২০ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে নবগঠিত শাহপরান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের মতিবিনিময়