editor
প্রকাশিত: ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধি
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের পর অনেকেই ভাব ছিলেন নুরুল হকের টোকেন বিক্রি বন্ধ হতে পারে। সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সহ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ সবসময় নম্বরবিহীন সিএনজি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু টোকেন নুরুল প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট সড়কে প্রায় তিন হাজার অবৈধ রেজিস্ট্রেশন বিহীন (নম্বরবিহীন) সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে চালিয়ে আসছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযানে দু’চারটি নম্বরবিহীন অটোরিক্সা আটক হলেও অদৃশ্য কারণে অভিযানগুলো থেমে যায়! ফলে এই তিন সড়কে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলাচলে বাধা থাকছে না কোথাও।
সরেজমিন অনুসন্ধান নামে টিম। উটে আসে সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার তিন সড়কের টোকেন বাণিজ্যের প্রদান নুরুল হকসহ সিন্ডিকেটের কয়েকজনের নাম।
জানা গেছে, এই তিন সড়কে রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশী। আর অবৈধ গাড়িগুলো চলছে বিশেষ টোকেন’র মাধ্যমে। টোকেন বাণিজ্য করে মাসে লাখ লাখ ও বছরে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে নুরুল সিন্ডিকেট। অবৈধ এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিতে সাহস যেন কারই নেই!
টোকেন সিন্ডিকেট প্রদানের নাম নুরুল হক। সে জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বালিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র। এই প্রদানের ইশারায় এই তিন সড়কে দীর্ঘদিন দিন থেকে চলছে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা। পরিচিতি শুধু টোকেন।
জানা যায়, এই সড়কগুলোতে রেজিস্টেশন বিহীন অটোরিক্সা চলতে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সাকে প্রতি মাসে কিনতে হয় ৫শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার টোকেন। আদায়কৃত এই চাঁদা থেকে নম্বর ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের জন্য বিআরটিএ এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করা হয়ে থাকে বলে বিশ্বস্থ একটি সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টোকেন বাণিজ্যের মূলহোতা নুরুল হক ও তার গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের কয়েকজন মিলে তাদের বড় একটি সিন্ডিকেট। এই তিন উপজেলার সব ক’টি সড়কের নিয়ন্ত্রকরা রেজিস্টেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা (অনটেষ্ট) গাড়িতে টোকেন লাগিয়ে দিলে সেটি চলাচলের জন্য বৈধ হয়ে যায়! সিএনজি অটোরিক্সা তাদের মাধ্যমে চলাচলে প্রথমে এককালীন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সার জন্য একটি টোকেন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই টোকেন অটোরিক্সার সামনের গ্লাসে লাগিয়ে দিলে গাড়িগুলো সড়কে চলতে আর কোনো অসুবিধা থাকেনা। এই উপজেলাগুলোতে এমন অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় তিন হাজার যা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে নতুন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার নিবন্ধন বন্ধ থাকায় তিন উপজেলার সব সড়কের নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলাচলের জন্য টোকেন বাণিজ্য গড়ে তুলেন নুরুল হক ও তার বাহিনী।
শুধু তাই নয় নূরুল হক দাবী করেন সিলেটের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশের সব সেক্টরে টোকেন বাণিজ্য করে আদায়কৃত টাকার ভাগ দিয়েই টুকেন ব্যবসার অনুমতি নিয়েছে। তাই তার দেয়া পরিচিতি টোকেন নিতে পারলেই জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট রোডে অবৈধ নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলতে বাধা থাকেনা। অন্যথায় কেউই রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চালাতে পারেবে না বলে জানায় কয়েকজন চালক।
তবে, থানা পুলিশের সাথে এব্যাপারে কথা হলে তারা টোকেন বাণিজ্যের বিষয়টি জানেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
নুরুল’র টোকেনের একেক সময় একেক ধরনের হয়ে থাকে কখনো বাস্তব শক্তি কাখনো বা অন্য কিছু। অনুসন্ধান কালে দেখা যায়, শাহপরান (রহ.) থানাধীন সদর-জৈন্তিয়া সীমান্তে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলের সামনে পুলিশ সিগনাল পেরিয়ে একের পর এক নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা সিলেট সদর উপজেলাধীন ‘পীরের বাজার ও সুরমা গেইট’ সিএনজি স্টেশনে গ্যাস নিতে আসা অটোরিক্সাগুলো।
এদিকে, বৈধ সিএনজি চালক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান, বিআরটিএ ও প্রসাশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সক্ষতা থাকায় এই টোকেন বাণিজ্যের হোতাদের অবৈধ এ বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে না। এদিকে এই সব রেজিস্ট্রেশন বিহীন (অনটেস্ট) সিএনজি অটোরিক্সার টোকেন ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করে নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অন্যদিকে এই টাকা টোকেন ব্যবসায়ীরা আত্মসাৎ করেন।
এদিকে বৃহত্তর জৈন্তা সিএনজি মালিক সমবায় সমিতির উদ্যোগে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সোমবার বিকেলে। খলিল আহমদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বৃহত্তর জৈন্তা সিএনজি মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি, সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৭০৭এর সদস্য ও ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুল হক বলেন, চাকা ঘুরলেই চাঁদা দিতে হয় পরিবহন শ্রমিকদের। আপনারা জানেন অবৈধ চাঁদাবাজির কারণে দেশের পরিবহন খাতের মালিক ও শ্রমিক নেতারা বর্তমানে সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন খাতে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। তাই আমরা পরিবহন সেক্টরের সব সংগঠন ও নেতারা একত্রিত হয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ তো সব কিছু ধরতে পারে না। চাঁদাবাজির কৌশলে যে পরিবর্তন এসেছে তারা সেটা হয়তো এখনো বুঝে উঠতে পারেনি। আর ২৪ ঘণ্টাতো পুলিশের পক্ষে পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। চাঁদাবাজির ব্যানার পরিবর্তন হয়েছে। জায়গা বদল হয়েছে। ইদানিং কিছু মাদক সেবনকারী চাদাবাজরা হরিপুরের করিশের ব্রিজের সামনে চলন্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে চাঁদা উত্তলন করছে। চালকরা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে মারধরো করা হচ্ছে। তাই এদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্ট-৭০৭ এর অন্তর্ভুক্ত চতুল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদ সিকদার, কানাইঘাট উত্তর বাজার শাখার সভাপতি মো. জাকারিয়া, সুরাইঘাট শাখার সম্পাদক আলতা আহমদ, সারিঘাট শাখার সভাপতি নুর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমদ, দরভস শাখার সভাপতি জয়নাল আহমদ, সম্পাদক ইসমাইল আলি, রাম ভরসা শাখার সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী, জৈন্তা গোয়াবাড়ি শাখার সভাপতি মাসুক আহমদ, গুয়াইনঘাট বাইপাস শাখার সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
সিলেটের সময় :: দীর্ঘ দুই মাস সৌদি আরব সফর শেষে সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ২নং হাটখোলা ইউনিয়নের সম্ভাব্য
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, মরহুম একেএম তারেক কালাম একজন জনদরদী রাজনীতিবিদ, মানবকল্যাণে তিনি আজীবন কাজ করেছেন। তিনি
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের দুই বারের সফল চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরীর সাথে মত
সিলেটের ব্যবসায়ীদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনলেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের সাবেক প্রথম প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ এর সাথে গ্রীন ডিসএ্যাবল্ড ফাউন্ডেশন (জিডিএফ) এর
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি জননেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনা
অনলাইন ডেস্ক দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিএনপির বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী