editor
প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ::
আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদারবাহিনীকে হটিয়ে সুনামগঞ্জকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করে উল্লাসে মেতে ওঠেন মুক্তিযোদ্ধা-জনতা। তারা নেমে আসেন রাস্তায়। পাক হানাদারবাহিনী ও তাদের দোসররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। জয় বাংলা স্লোগানে সেদিন মুখর হয় সুনামগঞ্জ শহর।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে ভোর থেকে সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর মোতালেবের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাক হানাদারবাহিনী ও রাজাকার-আলবদরদের ওপর হামলা চালালে সেদিন পালিয়ে যায় পাকিস্তানিরা। ১৯৭১ সালে সুনামগঞ্জ শহরতলির ডলুরা ও নলুয়া গ্রামে রাজাকারদের সহায়তায় কয়েকশ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যারাকের ভেতর হামলা চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এছাড়া দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, ছাতক, সদর উপজেলাসহ জেলার সব জায়গায় পাকিস্তানিরা বর্বর হামলা চালায়। এই শহীদদের স্মরণে এখানে স্মৃতিফলক নির্মাণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা, যা এখন পিটিআই (প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনিস্টিউট) বধ্যভূমি নামে পরিচিত। তাঁদের স্মৃতি আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হলেও সেটি রয়েছে অযত্ন আর অবহেলায়। দেখার যেন কেউ নেই।
এছাড়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বেরিগাঁও ৫ নম্বর সেক্টর ছিল ভারতের বালাট সাব-সেক্টরের অধীনে। এখানে ৭১ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর সম্মুখ সমরে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। জেলার অন্যতম যুদ্ধ ছিল এটি। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সদস্য নিহত হয়। এ যুদ্ধে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন আর ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে জীবিত ধরে নিয়ে যায় পাক হানাদারবাহিনী। ২ জন মুক্তিযোদ্ধা পালিয়ে আসতে পারলেও ২৪ জনকে মেরে ফেলে পাকবাহিনী। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নলুয়া গ্রামে গণকবর দেয় পাকিস্তানিরা। বাকিদের ধরে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা সুনামগঞ্জের আহসানমারা ফেরীঘাটে নিয়ে গুলি করে নদীতে ফেলে দেয়। এলাকার মুক্তিকামী মানুষ পরে নদী থেকে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ এনে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উজানীগাঁও গ্রামে সমাহিত করেন।
সুনামগঞ্জ শহরের পিটিআই ও বেরীগাঁও স্কুলে চলে হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ বর্বরতা। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা এখানে দিনের পর দিন মানুষকে অমানুষিক নির্যাতন করত। তারা এর নাম দেয় লালঘর টর্চার সেল। এখানে হত্যা করে গণকবর দেয় শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও শিশুদের ।
এদিকে ৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সদর উপজেলা প্রশাসনও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কর্মসূচি হলো সদর উপজেলার ডলুরায় ৪৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ।
S/H – (Sultana -3)
মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সিলেটে বিষিয়ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও জেলা প্রশাসন সিলেটের
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ঐতিহ্যবাহী তেলিরাই পাঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে মদ, গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ সকল ধরনের মাদকদ্রব্য ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মতবিনিময়
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেছেন, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে স্থাপিত মেশিনারিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খায়রুল হক ছোটনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও
সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল সালাম আজাদ সাহেদের পিতা আব্দুল খালিক (৮২) এর ইন্তেকালে গভীর শোক ও
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে সবার দৃষ্টি রয়েছে।
সুরমা অন্ধ কল্যাণ সমিতি সিলেটের ২ বছর মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর সিলেট উক্ত কমিটিকে অনুমোদন
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহ-সমাজসেবা সম্পাদক মো. ফয়সল আহমদকে কারা ফটকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয়