editor
প্রকাশিত: ৮:০১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় খোয়াই নদী সহ পাহাড়ের বুক বেয়ে আসা চড়া, করাঙ্গী নদীতে উচ্চ আদালত ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কড়া নির্দেশনার পরও থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। কোন ধরণের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চুনারুঘাট এলাকার খোয়াই নদীর গর্ভ থেকে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা।
নদীর পাড়ে বালু ফেলার কারণে নষ্ট হচ্ছে পাড়ের ফসলি জমির উর্বরতা। শুধু তাই নয়, ট্রাক, ট্রাক্টর, এস্কেবেটর মেশিন নদীর তীরে নেয়ার জন্য প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্বিচারে কাটছে যে যার মত। সেতুর এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও সেতুর আশ-পাশেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবৈধ এই কারবার বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বার বার জরিমানা করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রভাবশালী বালু কারবারিদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কাজিরখিল খোয়াই সেতু, পাকুড়িয়া খোয়াই সেতু, রাজার বাজার খোয়াই সেতু এলাকাসহ আমকান্দি ঝুঁকিপূর্ণ খোয়াই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় নদীর গর্ভে শতাধিক শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। উপজেলার খোয়াই নদীর সীমানায় ৩০ টি পয়েন্ট দিয়ে নদীর পাড়ে ঢুকছে ট্রাক্ট, ট্রাক্টর, এস্কেবেটর মেশিন। প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর দিয়ে বালু নেওয়ায় খোয়াই নদীর দু’পাড়ের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে এখন হুমকির মুখে।
চুনারুঘাট উপজেলার খোয়াই নদীর বিভিন্ন অংশে ইজারা নেয়া তিনজন ইজারাদারই সরকারী নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করছেন। তারা বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসরন না করে বালু ও মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছেন। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বাঁধ, সেতু ও বাড়িঘর ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়ছে।
এদিকে, কাজিরখিল বাজার, পাকুড়িয়া, কাঁচুয়া ও রাজার বাজারে রাস্তার পাশে বালুর ডিপু করায় রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ২৫ টন ওজনসম্পন্ন বালু ভর্তি শতাধিক ড্রাম ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন বালু পরিবহন করায় এলকার সড়ক মহাসড়কে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইজারাদারদের ক্ষুদ্র স্বার্থ রক্ষা করতে প্রতি বছর সড়ক মেরামত করতে সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে।
অপরদিকে, ভারতের খোয়াই এলাকা থেকে খরস্রােতা খোয়াই নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তের টেকেরঘাট কুলিবাড়ী এলাকা দিয়ে। কুলিবাড়ী থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ খোয়াই নদী পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার নদীর দু-পাড়ের বাঁধ রক্ষা করতে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড খরচ করছে। অথচ প্রতিদিন প্রকাশ্যে এর উপর দিয়ে চলাচল করছে মাটি বোঝাই ট্রাক, ট্রাক্টর। এলাকাবসীর অভিযোগ, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বালু ব্যবসায়ীদের সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবাদিরা। তবে দায় নিতে নারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে অগোচরে কাটা হচ্ছে বাঁধ। ওই পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কিছু করা যাচ্ছে না।
চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন থেকে অবৈধভাবে যারা খোয়াই নদীর দু-পাড়ের বাঁধ কাটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানালেও সেটা শুধু বক্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল বলেন, যারা বৈধ ইজারা নিয়ে ইজারার শর্ত ভেঙ্গে সরকারি নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অবৈধ বালু পাচারকারিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খোয়াই নদীর উভয় পাড়ের বাঁধে ট্রাক, ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ, খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধসহ রাস্তার পাশে অবৈধ বালুর ডিপোগুলো বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগীরা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক চুনারুঘাটের কৃতিসন্তান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, খোয়াই নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের কঠোর নির্দেশনার পরেও বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। স্থানীয় প্রসাশন ও জনপ্রতিনিধি যৌথভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে এগিয়ে আসতে হবে।
সিলেটের সময় :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডে মদিনামার্কেট এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় ও পথচারীদের মধ্যে ইফতার বিতরন করেন সিলেট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের সকল মতের ও পথের দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের
রাস্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, অতীতে যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তারা কেবল
সিলেট লায়ন্স ফাউন্ডেশন (এসএলএফ) এর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার সিলেট নগরীর নাইওরপুলস্থ একটি অভিজাত হোটেলের
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত নারকীয় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, গাজার মুসলমানদের গনহত্যায় ইসরায়েলের পাশাপাশি মুসলিম শাসকরা দায়ী। এদের নেফাকি
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর গণহত্যা ও ভারতের মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক