editor
প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নৌপথের চাঁদাবাজরা। করোনার দোহাই দিয়ে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে চাঁদাবাজরা। একাধিকবার সংঘর্ষ, মামলা-গ্রেপ্তার, প্রশাসনের অভিযান সত্ত্বেও পণ্যবাহী নৌযান থেকে চাঁদা আদায় অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সমিতির নামে চলছে চাঁদা আদায়। প্রতিদিনই এ নৌপথের ৬-৮টি স্থান থেকে ৪-৫ লাখ টাকার মতো চাঁদাবাজি হচ্ছে পাথর-বালু ও চুনাপাথরবাহী বার্জ-কার্গো ও নৌকা থেকে।
ছাতকের সুরমা নদীতে এভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআইডব্লিউটিএ), ছাতক পৌরসভা এবং শাহজালাল সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন নামে। অথচ বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব কোনো ঘাটই নেই। শাহজালাল সমিতিসহ চাঁদা আদায়কারী বিভিন্ন সংগঠনেরও কোনো বৈধতা নেই। এসব চাঁদাবাজির নেপথ্যে রয়েছেন পৌরসভার কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী ও কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
চাঁদাবাজিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের অভিযানে মাঝে মধ্যে স্পট থেকে দুই একজনকে আটক করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরেই থেকে যান মূল হোতারা। আটককৃতরা মূলত কমিশনে অথবা বেতনভুক্ত হিসাবে চাঁদা আদায় করেন। পর্দার আড়ালের রাগব-বোয়ালরা আবার এদের জামিন করানোর জন্য শুরু করেন তদবির। এর মধ্যেই কমিশন দেওয়ার শর্তে নদীতে নতুন চাঁদাবাজ নিয়োগ করেন তারা। ফলে কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব চাঁদাবাজি। জানা যায়, ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের সুরমা, চেলা এবং পিয়াইন নদী পথে বালু, পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা নিতে আসে বাল্কহেড, বার্জ, কার্গো ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের নৌযান। বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের যান চলাচল আরো বেড়ে যায়। এসব নৌযান ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন কোয়ারি থেকে পাথর সংগ্রহ করে।
এছাড়া ভারত থেকে চুনাপাথর, বোল্ডার-সিঙ্গেল আমদানি করেও ছাতক নৌ-বন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাম্পিং করা হয়। এসব স্থানের ব্যবসায়ীদের নৌযানকে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী নৌপথের ইছাকলস, কালারুকা ইউনিয়নের বোবরাপুর, দিগলবন্দ, চেলা নদীর মুখ, থানাঘাট, চাঁদনীঘাট, পেপারমিল ঘাট, নোয়ারাইঘাট, বারকাপন মুক্তিরগাঁও, বউলার মুখ, জামুরায়সহ কয়েকটি পয়েন্টে এ চাঁদা দিতে হয় নৌযানগুলোকে। যাদের চাঁদা আদায়ের বৈধতা রয়েছে তারাও অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছেন টোল আদায়ের নামে। প্রতিদিন শ খানেক ছোট-বড় নৌযানকে ঘাটে ঘাটে এ কারণে গড়ে চার হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিকবার চাঁদাবাজদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত বছর ১৪ মে রাতে ছাতক শহরের নদীতে চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে গুলি লেগে মারা যান সাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। এরপর পুলিশ তৎপর হলে কিছুদিন বন্ধ থাকে চাঁদাবাজি। পুলিশি তৎপরতা স্তিমিত হয়ে এলে আবার শুরু হয়। নৌযান থেকে চাঁদা আদায়কালে অভিযান চালিয়ে কালারুকা ইউনিয়নের দিঘলবন্দ এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিন নৌকাসহ চারজনকে আটক করে নৌ- পুলিশ।
ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের সুরমা, চেলা এবং পিয়াইন নদী পথে বালু, পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা নিতে আসে বাল্ক্কহেড, বার্জ, কার্গো ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের নৌযান। বর্ষা মৌসুমে এ ধরনের যান চলাচল আরও বেড়ে যায়। এসব নৌযান ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন কোয়ারি থেকে পাথর সংগ্রহ করে। এ ছাড়া ভারত থেকে চুনাপাথর, বোল্ডার-সিঙ্গেল আমদানি করেও ছাতক নৌ-বন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাম্পিং করা হয়। এসব স্থানের ব্যবসায়ীদের নৌযানকে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী নৌপথের ইছাকলস, চেলা নদীর মুখ, থানাঘাট, চাঁদনীঘাট, পেপারমিল ঘাট, নোয়ারাইঘাট ও বারকাপন এলাকায় চাঁদা দিতে হয়। যাদের চাঁদা আদায়ের বৈধতা রয়েছে তারাও অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছেন টোল আদায়ের নামে। প্রতিদিন শ’খানেক ছোট-বড় নৌযানকে ঘাটে ঘাটে এ কারণে গড়ে চার হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে।
২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর ছাতক নদীবন্দর এলাকা ঘোষণার পর ইজারা শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। এ সিদ্ধান্তের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট থেকে এটি দুই কোটি দুই হাজার টাকায় ইজারা নেয় মেসার্স কালু মিয়া এন্টারপ্রাইজ। নৌযানের ধরন ও আকার অনুযায়ী ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে টোল আদায়ের কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি আদায় করছে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
ছাতক পৌরসভার পক্ষ থেকে দুই ধরনের টোল আদায় করার কথা। প্রতিটি নৌযানকে নদীর ঘাট ব্যবহারে ৩৫০ টাকা ও পৌরসভার ট্যাক্স হিসেবে ৪০০ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু ট্যাক্স আদায়কারীরা আদায় করছেন পাঁচশ’ থেকে এক হাজার টাকা।
এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীসহ ৯ কাউন্সিলর ও তিন সাধারণ লোক নিয়ে গত এপ্রিল মাসে গড়ে ওঠা শাহজালাল পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামের একটি নতুন সংগঠন বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করেছে পাথর ব্যবসায়ী ও নৌযান শ্রমিকদের ওপর। পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
এ ব্যাপারে নৌ- পুলিশ ফাড়ি জানায়, চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম কবির জানান, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্সে আছে। সরাসরি জড়িত এবং পর্দার আড়ালের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা বিএনপির প্রাণের স্পন্দন, শহিদ জিয়াকে অবমাননা করা কোনভাবেই বিএনপি ছেড়ে দেবেনা। সবাইকে এখন থেকে সচেতন থাকতে হবে। সোশ্যাল
নবগঠিত মদন মোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আনন্দ শোভাযাত্রা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে রিকাবীবাজার পয়েন্ট হয়ে
সিলেটের কাজিরবাজার এলাকায় ঘরোয়া হোটেলের কর্মচারী রুমন মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্ট- ১৯৩৩ এর
গোপন তৎপরতায় অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির
বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রিন্স সালাম মুকিতকে সংবর্ধনা প্রদান। সোমবার
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মরহুম আশরাফ উদ্দিন জুয়েলের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সরকারের ভেতরে আওয়ামী দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্বরত শিক্ষকদের সংগঠন “মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ” মৌলভীবাজার জেলা কমিটি