editor
প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২০
ঢাকার ধামরাইয়ে ‘রোজ বহুমুখী সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মইনুল ইসলাম ও তার ভাগ্নে আবদুল হালিম গ্রাহকদের অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে টাকা ফেরত পেতে দেপাসাই বংশী নদীর পাশে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের মুদি দোকানদার ভাড়াটিয়া ইউনিয়নের মোড়ারচর গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে মইনুল ইসলাম ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ ধামরাই উপজেলা সমবায় কার্যালয় থেকে ‘রোজ বহুমী সমবায় সমিতি’ নামে একটি সমিতির নিবন্ধন নেন। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৫৬৫। পরে তিনি তার ভাগ্নে ধামরাইয়ের দেপাশাই গ্রামের আবদুল হালিমকে সঙ্গে নিয়ে ধামরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষকে আমানতের ওপর অধিক লাভ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আমানত সংগ্রহ করতে শুরু করেন। প্রথমে কয়েক মাস গ্রাহকদের মাসে লাখে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লাভ দিতে থাকে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে মইনুল ইসলাম বিশ^স্ততা অর্জন করেন। এক পর্যায় মইনুল ইসলাম গ্রাহকদের আমানতের টাকা দিয়ে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজারের পাশে ভালুম মৌজায় ছয় শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে তিনতলা আলিশান বাড়ি করেন।
সেই বাসার নিচতলায় তার সমিতির অফিস চালু করেন। এতে আরও বিশ^স্ততায় অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে ধামরাইয়ের দেপাশাই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ৫ লাখ ৫০ হাজার, আবদুস সাত্তারের ৪ লাখ, শাহজাহানের ১ লাখ, শরিফুল ও তাঁর ভাই-বোনের ১৬ লাখ, ভানু বেগমের ২ লাখ, মাইনুদ্দিনের ২ লাখ, আবদুল মান্নানের ১ লাখ, বজলুর রহমান ও তাঁর ভাইয়ের ২৮ লাখ, আলী আজগর ১৪ লাখ, দুদু মিয়া ৩ লাখ, জাহানারা ১ লাখ, কালামপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ১২ লাখ, বাবুল হোসেনের ৫ লাখ, পোটল গ্রামের শিউলি আক্তারের ২ লাখ, দেওনাই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ৬ লাখ, বৈষ্টবদিয়া এলাকার আলমগীর হোসেনের ৮ লাখ, মোড়ারচর গ্রামের হুমায়ুনের ৪ লাখ, বোচারবাড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ৫ লাখ, সুমনের ৬ লাখ, শোলাবাড়ি গ্রামের শফিক মাস্টারের ৪ লাখ, জবেদা বেগমের ৫ লাখসহ প্রায় ৫ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেণ তারা। আমানতের ওপর কয়েক মাস লাভ দিয়ে মানুষের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জনের করলেও হঠাৎ গত কয়েক মাস ধরে লাভ তো দুরের কথা আসল টাকাও না দিয়ে আধাঁরে উধাও হয়ে যান মইনুল ও হালিম। এতে বিপাকে পড়ে যান শতশত আমানত জমাকারী গ্রাহকরা। এ ঘটনায় গত কয়েকদিন আগে ১০ জন গ্রাহক মইনুল ইসলাম ও আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় ১০টি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
গ্রাকদের মধ্যে কমলা বেগম জানান, আমি এক প্রতিবন্ধী। আমাকে সরকার প্রতিবন্ধী ভাতা দেন। সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে প্রতারক হালিম। আমি দ্রুত টাকা ফেরত চাই।
ভুক্তভোগী বজলুর রহমান বলেন, আমার এবং আমার ভাইয়ের ২৮ লাখ টাকা স্ট্যাম্পে লিখিত স্বাক্ষর দিয়ে টাকা গ্রহণ করেছে ‘রোজ বহুমুখী সমবায় সমিতির অংশীদার আবদুল হালিম। টাকা চাইলেই আমাদের মামলা হামলার ভয় দেখানো হতো। আমাদের টাকা আত্মসাৎ করে হালিম ও তার মামা মইনুল গা ঢাকা দিলেও হালিমের বাবা শুকুর আলী উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। পুলিশও তাদের পক্ষ নিয়েছেন।
আরেক ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কষ্টার্জিত টাকাও আত্মসাৎ করায় এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা পারভীন আশরাফী বলেন, ‘রোজ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মইনুল ইসলাম ও তার ভাগ্নে হালিম গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
সিলেটের সময় :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডে মদিনামার্কেট এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় ও পথচারীদের মধ্যে ইফতার বিতরন করেন সিলেট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের সকল মতের ও পথের দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের
রাস্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, অতীতে যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তারা কেবল
সিলেট লায়ন্স ফাউন্ডেশন (এসএলএফ) এর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার সিলেট নগরীর নাইওরপুলস্থ একটি অভিজাত হোটেলের
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত নারকীয় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, গাজার মুসলমানদের গনহত্যায় ইসরায়েলের পাশাপাশি মুসলিম শাসকরা দায়ী। এদের নেফাকি
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর গণহত্যা ও ভারতের মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক