editor
প্রকাশিত: ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০
রুহুল আলম চৌধুরী উজ্জ্বল:
সিলেটের এমসি কলেজে নরপশুদের নারকীয়তা সহ সকল অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা মোকাবেলায় ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আপামর জনগণের মতো আমার ও ভরসার জায়গা হলেন জনক কন্যা, জননেত্রী, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেননা টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের একবছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি সৎ সাহস নিয়ে বলেছেন,,
“জাতির পিতা আজীবন সংগ্রাম করেছেন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তার কন্যা হিসেবে আমার জীবনেরও একমাত্র লক্ষ্য মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমার উপর ভরসা রাখুন। আমি আপনাদেরই একজন হয়ে থাকতে চাই ” দেশের জনসাধারণের প্রতি একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়কের এর থেকে উত্তম প্রতিশ্রুতি আর কি হতে পারে?
তাসত্ত্বেও, চলমান সংকট কে সামনে রেখে যারা ক্ষমতার মসনদের স্বপ্ন দেখেন তাদের কে জানিয়ে দিতে চাই উনি শরীরে সেই রক্ত ধারণ করেন যে নেতা ৭১রে বর্বর পাকিস্তানি আর তাদের সহযোগীদের হাতে ধর্ষিতদের যখন তাদের পরিবার পরিজন গ্রহণ করতে অপারগ ছিল তখন বলেছিলেন ” তাদের পিতার নাম শেখ মুজিব আর ঠিকানা ধানমণ্ডি ৩২ লিখে দাও”।
অতিউৎসাহীদের জানা উচিত, শত বাধা, বিপত্তি আর অমাবস্যার অন্ধকার জয় করে আসা, আন্দোলনের অগ্নিবীণা হলেন জনক কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। পিতা পরিজন হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে সমগ্র বিশ্বে বাঙালির অস্তিত্ব জানান দেওয়ার কারিগর শেখ হাসিনার আজকের এই অবস্থানে আসার পিছনের ইতিহাস কি এতটাই মসৃন? শত সমালোচনা আর ষড়যন্ত্রের বিষদন্ত ভেঙে নীলকন্ঠ একজন শেখ হাসিনা যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে তখন কারা সেই অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে চায়? এরা কি সেই শকুনের দল যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, এরা কি তারা যারা পিতা মুজিবকে শুধু হত্যা করেনি তার হত্যার যাতে বিচার না হয় তার জন্য শকুনি আইন জারি করেছিল? এরা কি তারা যারা এদেশে মুক্তমতের চর্চাকে করেছে বাধাগ্রস্ত? এদের চিহ্নিত করার এখনিই সময় নয় কি?
জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়া তৃণমূলের কর্মীদের শ্রম, ঘাম আর রক্তের উপর দিয়ে এসে তথাকথিত নেতাদের চামচামির পুরস্কারস্বরূপ রাতারাতি অতি আওয়ামী লীগার বনে যাওয়া কাউয়াদের টুটি চেপে ধরার এখনই সময়।
অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক উস্কানী আর প্রাসাদ ষড়যন্ত্র জয় করে শেখ হাসিনা যখন স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের দ্বারপ্রান্তে তখন আমাদের কি হাত গুটিয়ে থাকলে চলে? আমাদের কি ভাবা উচিত নয় জনক কন্যা যখন বলেন ‘আমাকে ছাড়া সবাইকে কেনা যায়’ তখন কাদের গাত্রদাহ হয়? ক্রিকেটের সাকিব থেকে বুয়েটের আবরার সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দায়িত্ব কি শুধুই দেশরত্ন শেখ হাসিনার? আমরা কি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, দলকানা, হলুদ সাংবাদিক আর হঠাৎ আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়াদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারিনা? শহিদ মতিউর, নুর হোসেন, আসাদ, মিলন ওয়াজিউল্লাদের প্রতি আমাদের কি কোনো দায় নেই?
একজন শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতির বরপুত্রদের ধরতে শুরু করলেন আমরা কেবল বাহবা দিলাম। আমাদের কি আরো আগে প্রতিবাদী হওয়া উচিৎ ছিলনা! লোক দেখানো শুদ্ধি অভিযান না করে তিনি যখন শুরু করলেন ঘর থেকে। আমরা যাদের বিরুদ্ধে এক কলম লিখার সাহস করিনা তিনি তাদের মুখোশ দিলেন খুলে। এটা তার দ্বারাই সম্ভব যিনি এদেশের আপামর জনসাধারণকে ভালোবেসে বলেন, ‘প্রয়োজনে পিতার মত জীবন দিয়েও আপনাদের ঋণ সুদ করে যাব’।
যাদের জন্য তিনি জীবনের ঝুঁকি নিলেন বা নিচ্ছেন, তার প্রতি আমরা কতটা দায়িত্ববান তা দেখার সময় এখনই। বিশ্ব ইতিহাসে অন্য কোনো নেতাকে এতবার হত্যার চেষ্টা বা ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা আমার জানা নেই, তবুও যিনি নির্ভীক। এ লড়াই কি তার একার? শেখ কামাল, জামাল, রাসেলের হাসু আপা’র পাশে থেকে দেশ গঠনের অগ্রযাত্রায় আমরা কি ভাই হয়ে দাঁড়াতে ভয় পেলে চলবে? এ লড়াই কি আমাদের নয়? তাই আসুন ৫২, ৬৯, ৭১-এর চেতনায় মুজিবকন্যার পাশে থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের লড়াইয়ে অংশ নিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিকের ভূমিকা পালন করি। কেননা এ লড়াই জিততে হবে, আর উচ্চকণ্ঠে বলতে হবে- ‘তোমার হাতেই সন্ত্রাস আর দুর্নীতি হোক শেষ। তোমার মাঝেই জনক দেখি তুমিই বাংলাদেশ॥’
লেখক : রুহুল আলম চৌধুরী উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। (প্রধান স্বমন্বয়ক, সাপ্তাহিক হৃদয়ে ৭১ পাঠচক্র, উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক সিলেটের হালচাল)
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাংঙ্খা, চা শ্রমিকদের জীবন ও ছাত্র যুবকদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর)
বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগরীর সহ সভাপতি কে এম আবদুল্লাহ আল মামুন
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন বলেছেন,
নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্মের কারণে আর কোন মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর
নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট নগরীতে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে অপহরণ করে নিয়ে কোপানো হয়েছে। গুরুতর
শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কর্মসূচি। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে চৌহাট্টাস্থ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি
অনলাইন ডেস্ক সমকাল ‘আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৭২ নেতার হদিস নেই’-এটি দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ
অনলাইন ডেস্ক দেশের উত্তরে শীত জেঁকে বসেছে কায়েক দিন আগেই। এবার শীতের তীব্রতায় কাঁপছে রাজধানী ঢাকাও। এখানে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি