admin
প্রকাশিত: ২:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের প্রায় সোয়া চার লাখ গ্রাহক গেল তিনদিন হয় অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। বাকী সময় পাচ্ছেন না বিদ্যুৎ। কোন কোন দিনে আরও কম সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এ কারণে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় এই দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে দাবি করেছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন আবাসিক এলাকার গ্রাহকরাও।
অক্টোবরের শেষ এবং বাংলা কার্তিক মাসের শুরুতে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ বা হাওরাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জে অন্যান্য বছর হিমশীতল আবহাওয়া থাকলেও এবার ব্যতিক্রম। দিনে কড়া রোদ, রাতেও প্রচণ্ড গরম। এরমধ্যে গেল তিনদিন হয় ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে রীতিমত হাঁপিয়ে ওঠেছে এই অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে তাদেরকে।
সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলির সাত ফিডার এবং দিরাই-শাল্লার বিদ্যুৎ ফিডারসহ সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহক প্রায় ৬০ হাজার। অন্যদিকে, জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে ১০ উপজেলা সদরসহ গ্রামীণ এলাকার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তাদের গ্রাহক তিন লাখ ৭৫ হাজার। সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলির আট বিদ্যুৎ ফিডার হচ্ছে- সুনামগঞ্জ সদর থানা, ষোলঘর, আমবাড়ী, হাছননগর, বেতগঞ্জ, মল্লিকপুর, বড়পাড়া ও দিরাই ফিডার। এছাড়া দিরাই-শাল্লার জন্য আলাদা একটি বিদ্যুৎ ফিডার রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ফিডার হাজীপাড়া বিদ্যুৎ অফিস থেকে কাজীরপয়েন্ট পর্যন্ত। ষোলঘর ফিডার ষোলঘর পয়েন্টে থেকে নবীনগর-বদিপুর হয়ে আমবাড়ী সড়কের সরকারি হাঁসের হ্যাচারী পর্যন্ত। আমবাড়ী ফিডার আমবাড়ী হাজারীগাঁও দুর্লভপুর পর্যন্ত। বুড়িস্থল থেকে বেতগঞ্জ বাজার হয়ে রংয়ের বাজার পর্যন্ত। মল্লিকপুর ফিডারে মল্লিকপুর, বিসিক শিল্পনগরী, কালীপুর, ওয়েজখালী জলিলপুর হয়ে ফিরোজপুর পর্যন্ত। বড়পাড়া ফিডারে যুক্ত রয়েছে পশ্চিমবাজার, তেঘরিয়া, জগন্নাথবাড়ী ও জেল রোড এলাকা। হাছননগর ফিডারে সংযুক্ত নতুনপাড়া, হাজীপাড়া, বাঁধনপাড়া, শান্তিবাগ, শহীদ আবুল হোসেন রোড হয়ে হাছননগরের সরকারি শিশু পরিবার এলাকা। দিরাই ফিডারে হালুয়ারগাঁও কারাগার থেকে নীলপুর ভৈষবেড় পর্যন্ত যুক্ত। এসব ফিডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয় মল্লিকপুর ফিডারে। পর্যায়ক্রমে হাছননগর, সদর থানা, ষোলঘরসহ অন্যান্য ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা লাগছে। মল্লিকপুর ফিডারে তিন থেকে সাড়ে তিন মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদ বেশিরভাগ সময়। অন্যান্য ফিডারে আড়াই থেকে পৌঁনে এক মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ লাগছে।
এছাড়া দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় এই বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুতের প্রয়োজন সাড়ে ছয় মেগাওয়াট, অথচ বিদ্যুৎ মিলেছে তিন থেকে সাড়ে চার মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছে সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
একইভাবে বেকায়দায় পড়েছে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তাদের চাহিদা ৫০ থেকে ৫২ মেগাওয়াট। গেল তিনদিন বেশিরভাগ সময় এই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ৩০ থেকে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছে।
সুনামগঞ্জ শহরের মুক্তারপাড়ার ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস ও সজল দাস বললেন, তারা কাজ করলেই জীবীকা। তাদের দোকানগুলোতে সাত-আটজন করে স্টাফ রয়েছেন। এরা বেতনে চাকুরি করে। বিদ্যুৎ না থাকলে কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু বেতন ঠিকই দিতে হয় স্টাফদের। এই অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসা ঘুটাতে হবে। মল্লিকপুর এলাকার অটো রাইস মিল মালিকরাও এভাবেই দুর্ভোগের কথা বর্ণনা করলেন।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বললেন, জাতীয় গ্রীড থেকে শহরের ওয়েজখালী গ্রীড স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। পরে ওখান থেকে সরবরাহ পায় দুই বিদ্যুৎ বিভাগ (বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্তৃপক্ষ)। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, সেই পরিমাণের চেয়ে বেশি এলাকার চাহিদায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে, আপনা আপনি পুরো সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে। গেল তিনদিন হয় ১৩ মেগাওয়াট চাহিদার স্থলে পাঁচ-ছয় মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তাতে একটি বড় ফিডার ও একটি ছোট ফিডারেরর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে অন্য এলাকা বন্ধ রাখতে হয়। এভাবে কোন কোন এলাকাবাসী গেল তিনদিন হয় অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে। কেউ কেউ আরেকটু কম পাচ্ছে। ওই প্রকৌশলী বললেন, জনবল ও যানবাহনের কমতি থাকায় গ্রাহকরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না। ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আছেন ২৫ জন। পর্যাপ্ত যান বাহনও নেই। লাইনম্যানরা এক ফিডারের ত্রুটি সারতে গেলে, আরেক ফিডারে সমস্যা হলে সারতে সময় বেশি লাগছে। তাতেও অসন্তোষ্ট হচ্ছেন গ্রাহকরা।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমদ বললেন, চাহিদামত বিদ্যুৎ পেলে সরবরাহ করতে আমাদের সমস্যা নেই। চাহিদা অনুযায়ী না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে জানিয়ে, জনবল শূন্যতায় এই সময়ে সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে না বলে দাবী এই প্রকৌশলীর।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জিএম জাকির হোসেনও চাহিদার কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে বললেন, চাহিদা ৫০ থেকে ৫২ মেগাওয়াট, পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ মেগাওয়াট। এ কারণে লোডশেডিং করতে হচ্ছে এলাকায় এলাকায় বলে মন্তব্য তাঁর।
1 ৮ নভেম্বর (শনিবার) সিলেট-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম
4 সিলেটে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলা কমিটির আয়োজনে শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
7 নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও ঢাকা বিভাগীয় কাউন্সিল অধিবেশন
8 জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এর সাথে মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ শিক্ষকদের এক মতবিনিময় সভা
7 সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, সেবা দেওয়াটা হচ্ছে মহৎ কাজ, সেবা দেওয়ার মানষিকতা সবার থাকে না, এটা
4 সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হুসেন বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়াতে
7 সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) সংসদীয় আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেছেন, তারেক রহমানের আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে আমরা
5 ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনিকে এখন আর আগের মতো পর্দায় নিয়মিত দেখা যায় না। তবে সামাজিক মাধ্যমে তার সরব উপস্থিতি রয়েছে।