admin
প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচআইভি আক্রান্ত মানুষদের জন্য সিওমেক হাসপাতালে দীর্ঘদিনের বিদ্যমান চিকিৎসা সুবিধা আরো বিস্তৃত করা হবে। সিলেট বিভাগের এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সবচেয়ে বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানে পিসিআর টেস্ট এবং ভাইরাল লোড টেস্টিং সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সুবিধা চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে এসব মানুষদের সেবাপ্রদান করে আমাদের চিকিৎসকগণ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশ^ এইডস দিবসের আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন হাসপাতালের নবাগত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার।
১লা ডিসেম্বর বিশ^ এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দিনের শুরুতেই হাসপাতালের সম্মুখস্থ গোলচত্বরে স্ট্যাডিং র্যালির আয়োজন করা হয়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব ধরনের স্ব্যাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে র্যালীসহ এইডস দিবসের যাবতীয় কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অধ্যাপক, চিকিৎসক, সেবিকা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী ও সেবা গ্রহীতাগণ অংশ গ্রহন করেন।
র্যালী শেষে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের সভাপতিত্বে এবং পিএমটিসিটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এবং এইচআইভি আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র এআরটি সেন্টারের ফোকাল পার্সন ডা. আবু নঈম মোহাম্মদ। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যাক্তিদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এতে করে নিয়মিত চিকিৎসার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ এখন অনেক ভালো আছেন।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত ‘সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল সমূহে পিএমটিসিটি সেবা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের কার্যক্রম এবং হাসপাতালের সামগ্রিক এইচআইভি কার্যক্রম নিয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেন। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপাধক্ষ্য অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, গাইনী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাসরিন আক্তার, রক্তপরিসঞ্চালন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম এ মুসা চৌধুরী, সহকারী পরিচালক ডা. মাহবুবুল আলম, ডা. এ এস এম বাদরুল ইসলাম, সেবা তত্ত্বাবধায়ক রেনুয়ারা আক্তার, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার প্রমূখ।
সভায় বক্তাগণ তাদের আলোচনায় সিলেট বিভাগের এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁিকপূর্ণ অবস্থা, এইচআইভি আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তা এবং এক্ষেত্রে সিওমেক হাসপাতালের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলেকপাত করেন।
গাইনী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাসরিন আক্তার জানান, চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় এইচআইভি আক্রান্ত অনেক মা এইচআইভি মুক্ত সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এপর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালের ৬০ জন এইচআইভি আক্রান্ত মা ‘মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ’ কার্যক্রমের আওতায় এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশুলাল রায় তার বক্তব্যে এইচআইভি প্রতিরোধে হিজড়া জনগোষ্ঠি সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের সেবার আওতায় নিয়ে আসার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় উপধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, যেহেতু অভিবাসী অধ্যূষিত এলাকা, তাই এখানে এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রমের আঙ্গিক একটু ভিন্ন রকমের হতে হবে। প্রয়োজনে কোভিড-১৯ পরীক্ষার মতো বিমান বন্দর সমূহেও এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় আলোচকগণ সিলেটের এইচআইভি কার্যক্রম গতিশীল করতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এদিকে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট সিভিল সার্জনের উদ্যোগে মঙ্গলবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে নগরীতে সিলেট সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দের সভাপতিত্বে ও মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপনীল রায়ের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নূরে আলম শামীম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সিভিল সার্জন সুজন বণিক, মেডিকেল অফিসার ডিজিজ কন্ট্রোল ডা. মির্জা লুৎফুল বারী, মেডিকেল অফিসার ডা. সিধু সিংহ প্রমুখ।
এতে ব্রাক হীড বাংলাদেশ, আশার আলো সোসাইটি, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার, লাইট হাউস, সিলেট হীম সেন্টার সহ বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম জানান এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগী সিলেট বিভাগে ৪৫ জন।
উল্লেখ্য যে, সিলেটে এপর্যন্ত সনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৬ জন এর মধ্যে মারা গেছেন ৪১২ জন। বাকীদের মধ্যে ৫২৯ জন সিলেট এমএজিওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি সেন্টার হতে নিয়মিত ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। সরকারী অর্থায়ানে এ রোগীদের মধ্যে ঔষধ এবং অন্যান্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত মা হতে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় এই দুটি হাপসাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান আছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা বিএনপির প্রাণের স্পন্দন, শহিদ জিয়াকে অবমাননা করা কোনভাবেই বিএনপি ছেড়ে দেবেনা। সবাইকে এখন থেকে সচেতন থাকতে হবে। সোশ্যাল
নবগঠিত মদন মোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আনন্দ শোভাযাত্রা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে রিকাবীবাজার পয়েন্ট হয়ে
সিলেটের কাজিরবাজার এলাকায় ঘরোয়া হোটেলের কর্মচারী রুমন মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্ট- ১৯৩৩ এর
গোপন তৎপরতায় অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির
বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রিন্স সালাম মুকিতকে সংবর্ধনা প্রদান। সোমবার
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মরহুম আশরাফ উদ্দিন জুয়েলের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সরকারের ভেতরে আওয়ামী দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্বরত শিক্ষকদের সংগঠন “মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ” মৌলভীবাজার জেলা কমিটি