editor
প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২১
অনলাইন ডেস্ক:: মাথায় অপবাদের বোঝা। তারপর বিলুপ্তি। বিতর্কিত একাধিক কর্মকাণ্ডের পর ছন্দহীন হয়ে পড়ে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। জেলার পথ ধরে বিলুপ্ত হয় মহানগর কমিটিও। ফলে সিলেট অঞ্চলে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এই সংগঠন। দলীয় পরিচয় না থাকার চাপ পড়ে সাংগঠনিক কর্মসূচীতে। দলীয়ভাবে হতাশায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। তবে এই হতাশার অবসান হচ্ছে শীঘ্রই।
কমিটিহীন সিলেট ছাত্রলীগে এখন জোয়ার বইছে আনন্দের। দীর্ঘদিন পর অবসান হচ্ছে প্রতিক্ষার। সিলেটে নতুন প্রত্যাশায় উন্মুখ এই সংগঠন। আগামী ১৩ মার্চ সিলেট আসছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সাংগঠনিক সফর শেষেই প্রকাশ হচ্ছে জেলা ও মহানগরের প্রত্যাশিত কমিটি।
জানাগেছে সিলেটে সংগঠনের ৬ টি গ্রুপ সমন্বয় করেই উপহার দেওয়া হবে নতুন কমিটি। বিতর্কিতরা কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন না-এমনটি বলা হলেও গ্রুপ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এই দাগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের কিছু নতুন মুখ। আর ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলছেন, কারো হাতিয়ার হিসেবে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করা হলে ফের বিতর্কের মুখে পড়বে এই সংগঠন। বারবার এমন ঘটনার পূণরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি রাখার দাবি এই অংশের।
অপবাদের বোঝা নিয়ে কমিটি বাতিলের প্রায় সাড়ে ৩ বছর হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এখনও সংগঠনের গ্রুপিং রয়েছে আগের মতোই। তবে, কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে ছন্দ হারিয়ে ফেলে জেলা ছাত্রলীগ। এর প্রভাব পড়ে গোটা সিলেট অঞ্চলে। একই অবস্থা সংগঠনের মহানগর শাখায়। অভিযুক্ত হয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর মহানগর কমিটি বিলুপ্ত হলে দেড় বছর পরও নতুন কমিটি পায়নি সংগঠনের মহানগর শাখা। উভয় কমিটি দীর্ঘদিন কমিটিহীন থাকায় সাংগঠনিক শক্তিতে অনেকটাই খেই হারিয়ে ফেলে এই সংগঠন। এতে করে না সৃষ্টি হচ্ছে কর্মী, না আসছে নতুন নেতৃত্ব। সিলেট জেলা ও মহানগরে নতুন কমিটি দ্রুত সম্পন্নের তাগিদ ছিল। সিলেট এসে পদপ্রত্যাশীদের সিভিও গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তারপর প্রস্তুত করা হয় জেলা ও মহানগরের পৃথক কমিটি। তবে অনিবার্য কারণে আলোর মুখ দেখেনি সেই কমিটি।
এবার নেতাকর্মীরা নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। সূত্র জানায়, পদ প্রত্যাশীদের ম্যান টু ম্যান ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অতীতে দলে ভূমিকা, শৃঙ্খলা, পারিবারিক পরিচিতিসহ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। চলতি সফর শেষে কেন্দ্রিয় সংগঠন আরেক দফা অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট শেষে কমিটির নাম প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সূত্র।
এদিকে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে পদে সম্ভাব্য বিশ জনের নাম এখন আলোচনায় । জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে সম্ভাব্য তালিকায় পাঁচ জন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছেন পাঁচ জন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদেও সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছেন পাঁচজন, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদে সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছেন পাঁচজন।
জেলা সভাপতি পদে সম্ভাব্যদের মধ্যে যারা আছেন তারা হলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট ল কলেজের শিক্ষার্থী মুহিবুর রহমান, সাবেক জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেট্রাপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাওসার আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সিলেট সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী অসিম কান্তি কর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এমসি কলেজের শিক্ষার্থী কনক পাল অরুপ।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী আলী হোসেন আলম, সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আলম শাওন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শফায়েত খান, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি হুসাইন মোহাম্মদ সাগর, সিলেট ল কলেজের শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান সাদিক।
এদিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদে সম্ভাব্যদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এএম ফারহান সাদিক, সিলেট ’ল’ কলেজের শিক্ষার্থী এস এম রুবেল আহমদ (শামছুল আহমদ), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ পাঠাগার সম্পাদক এম আর মুহিব, মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম রাহাত, এমসি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা রুবায়েত আহমদ শাকিল।
মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদেও সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন পাঁচ জন। তারা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটর শিক্ষার্থী কিশোর জাহান সৌরভ, ছাত্রলীগ নেতা ল কলেজের শিক্ষার্থী জুবের আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হুমায়ুন রশীদ হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়জুল ইসলাম রাহাত, মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান সানী। গোয়েন্দা তালিকার বাহিরে আরও নাম রয়েছে রাহেল সিরাজ ও নাঈম আহমদের।
জানা যায়, সিলেটে ছাত্রলীগের কমিটি নেই বেশ ক’বছর। দীর্ঘদিন সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় সিলেটে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে যেভাবে পারছে তারা এখন বহুধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ’কতিপয় ভাই’দের নিয়ন্ত্রণে একাধিক গ্রুপের ভিতরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য উপ গ্রুপ। নেতাকর্মীরা জড়িয়ে পড়ছে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে। আর এসব ঘটনা সময়ে অসময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেও ফেলছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। তবে সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় কেউ কোন দায়িত্ব নিতে চাননা। খোদ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রশ্ন তাহলে যে কোন ঘটনা ঘটলে এর দায়টা নিবে কে ?
এদিকে, কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ বারবার আশ্বাস দিয়েও কমিটি পায়নি সিলেট। নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন এবার অন্তত তারা আশায় বুক বেধেছেন। আর যেন কমিটি গঠনের তৎপরতা কোন কারনে পিছিয়ে না যায় সেজন্য কেন্দ্রীয় সংগঠনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তবুও আমরা সংগঠনের ব্যানার ও পতাকা সমুন্নত রেখেছি। কষ্ট হয় দীর্ঘদিন কমিটি না থাকার ফলে অনেক মেধাবী ত্যাগী কর্মীরা ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছে, কেউ কেউ দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস নতুন কমিটির মাধ্যমে আগামী ইউপি নির্বাচনে ছাত্রলীগ সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শেখ হাসিনার কর্মী। আমার কেন্দ্রিয় সংগঠন এবং আমার নেত্রী আমাকে যেকোন দায়িত্ব দিলে আমি শতভাগ পালন করার চেষ্টা করবো।
মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এ.কে.এম মাহমুদুল হাসান সানী বলেন, কয়েক বছর থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটি নেই। কমিটি না থাকার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই যেকোন সংগঠন দূর্বল হয়ে পড়ে। তবে সিলেট ছাত্রলীগ এখন অনেক শক্তিশালী।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান বলেন, কমিটি না থাকার ফলে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। যত দ্রুত সম্ভব সংগঠন কমিটি দিলেই সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল হবে। তিনি বলেন, সংগঠন যেখানে যে দায়িত্ব দিবে আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো।
(Al-amin-01)
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আল-আমিন এসোসিয়েটস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, নার্সদের কারণে স্বাস্থ্য
মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে সিনিয়র ফটো সাংবাদিক আতাউর রহমান আতার নিখোঁজ ছেলে রেজাউর রহমান রনিকে পাওয়া গেছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে দুই ঘন্টাব্যাপী স্পোর্টস ফর ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ মে)
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা, সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব এম
বাংলাদেশ জাতীয় ফতওয়া বোর্ড সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান শায়েখ মুফতী আব্দুল কারীম হাক্কানী সিরাজী আল-হানাফী বলেছেন, ইসরাইলের বিনেয়ামিন সরকার বিগত এক
গাজী বুরহান উদ্দিন-কানাইঘাট রাস্তা দ্রুত সংস্কারসহ আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীতকরণের দাবীতে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, দেশের নারীদের অগ্রগতির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির নির্বাচনী তফসিল অনুসারে মনোনয়ন জমা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) এসোসিয়েশনের