Daily Sylheter Somoy
প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সিলেটের ট্রাফিক পুলিশ সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে, সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাস্তায় বেরোলেই আইনের দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, রং পার্কিং বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্রের বিভিন্ন জটিলতায় কেবল সিএনজি চালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।’ এমন অভিযোগ করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন তারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া আহমদ।
এ সময় তিনি বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব একটু নিম্নমুখী হওয়ায় সরকার গত ১১ আগস্ট থেকে প্রায় সকল কিছুই উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সেই থেকে সিলেটে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউন এবং বিশেষ ছুটির কারণে চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা, পরিবার, পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকা শ্রমজীবী মানুষরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে রাস্তায় রুটি-রুজগারের জন্য বের হয়। তখন থেকেই সিলেটের পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ট্রাফিক পুলিশ ১৫ টি চেকপোষ্টের মাধ্যমে মামলা ও জরিমানা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সরকারি ছুটি ও লকডাউন ঘোষণার কারণে অনেক মালিক ও শ্রমিক তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্র হালনাগাদ করে নিতে পারেননি, পুলিশ সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে শ্রমিকদের উপর যে অবিচার ও জুলুম করছে, তা সিলেটের ইতিহাসে শুধু নজিরবিহীনই নয় এটা প্রতিহিংসা পরায়ণতার চরম একটি দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা বা বেবি টেক্সি দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে শেয়ারে যাতায়াত করছে। সে ক্ষেত্রে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ৩ জন যাত্রীর স্থলে ৪/৫ জন যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করে আসছে। দীর্ঘ ৫০ বছরের অঘোষিত একটি নিয়মকে আইনের নামে পুলিশের সুযোগ নেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আমরা আন্দোলনে না নেমে ধৈর্য্য ধারণ করে এই জুলুম অত্যাচার সহ্য করে এ পর্যন্ত এসেছি। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ওপর সরকার একটি বর্ধিত করের বোঝা আরোপ করেছেন। আমরা এই বর্ধিত কর অনতীবিলম্বে প্রত্যাহার করার জোরদাবি জানাচ্ছি।
সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপণ অনুসারে সিলেট জেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া আলাদাভাবে পুণঃনির্ধারণ না করায় অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা দূরত্ব বিবেচনায় ভাড়ার হার নির্ধারন করেন। যা ওই প্রজ্ঞাপণের তুলনায় কম। ইদানিং সিলেটের ট্রাফিক প্রশাসন হঠাৎ করে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় শেয়ারে অতিরিক্ত যাত্রি বহন করতে বাধা প্রদান করায় আমরা সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি করেছি। আগে যেখানে ১০০ টাকার ভাড়া শেয়ারে যাত্রি সাধারণের কাছ থেকে আমরা ১শ’ টাকা নিতাম। বর্তমানে সেখানে ট্রাফিক পুলিশ ৩জনের অধিক যাত্রি বহনে বাধা প্রদান করায় ও অতিরিক্ত যাত্রি বহনের দায়ে ৩ হাজার ৫ হাজার ৬ হাজার এবং ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা ফি আদায় যুক্ত মামলা প্রদান করার কারণে চালকরা ৩জনের অধিক যাত্রি বহন করছেন না। সেই জায়গায় যেখানে ১০০ টাকা ভাড়া সেখানে ৯০ টাকা আদায় করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে এখনও অনেক জায়গায় কম ভাড়া নিচ্ছি, কোন জায়গায়ই প্রজ্ঞাপনের বাইরে ভাড়া নেওয়ার কোন হদিস নেই। এ সময় তিনি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, অটোবাইক, মোটরবাইক, টমটম, প্রাইভেট কার, লাইটেস দিয়ে শেয়ারে যাত্রি পরিবহন করছে। এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেটের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ২০১৮ সালের সড়ক আইনের পূর্ণাঙ্গ সংশোধন হওয়ার আগ পর্যন্ত এবং বিধিমালা প্রণয়নের আগ পর্যন্ত এই আইনের প্রয়োগ বন্ধ করারও দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা সিলেটের প্রশাসনের প্রতি আলাদা-আলাদা স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবি জানালেও প্রশাসন এই বিষয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদেরকে পার্কিং স্থানের ব্যবস্থা না করে দিয়ে কেবল নো-পার্কিং সাইনবোর্ড ব্যবহার করে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহের শৃঙ্খলা বজায় থাকবে বলে আমরা মনে করি না। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্থানে পর্যাপ্ত পার্কিং স্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেই নো-পার্কিং সাইনবোর্ড লাগানো হলে, সেটা কার্যকর ও মানান সই হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সিলেট বিআরটিএ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে অনেক প্রতিবাদ ও লেখালেখি হচ্ছে, আমরা ও বিভিন্ন সময়ে আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আবেদনের মাধ্যমে বিআরটিএ সিলেটের হয়রানি বন্ধের জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সময় যত যাচ্ছে দুর্নীতি ও হয়রানি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় তিনি গাড়ির ফিটনেস এবং লাইসেন্স নবায়নে বিআরটি-এর নানা হয়রানির অভিযোগ তোলে ধরেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আঞ্চলিক পরিবহণ কমিটির সভাপিত ও সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে ৬ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। যার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এসব দাবি বাস্তবায়নে সিলেটের প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাহ মো. দেলোয়ার, মো. খলিল খান, মো. মতছির আলী, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল আহমদ চৌধুরী, আজাদ মিয়া, মো. সাহাব উদ্দিন, ইকবাল আহমদ প্রমুখ।
আমাদের লিংক :
https://www.facebook.com/somoymediasylhet
https://dailysylhetersomoy.com/
https://dailysylhetersomoy.com/english/
https://www.epaper.dailysylhetersomoy.com/home/
https://www.youtube.com/channel/UC-KEfv6XOsGmA4w0BEN7PHw
https://www.instagram.com/sylhetersomoy/
ডিএসএস/২০/সেপ্টেম্বর/২০২১/রেদওয়ান
দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সুরমা
জকিগঞ্জের সকল আইনজীবীদের অংশগ্রহনে জকিগঞ্জ আইনজীবী পরিষদের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নগরীর অভিজাত হোটেল মেট্র ইন্টারন্যাশনালে অনুষ্ঠিত
সিলেটস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা গতকাল ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ধোপাদিঘিরপারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা গতকাল সিলেট নগরীর পূর্ব শাহী
সিলেট জেলা স্টেডিয়াম এর মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও গণমানুষের সাথে ইফতার করলেন সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. সিলেটের
প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) নগরীর হোয়াইট হাউস রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়। এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যক্ষ
সুজন চক্রবর্তী, আসাম (ভারত) প্রতিনিধি :: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘিরে প্রতিবাদের জেরে ২ যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ। বুধবার (২৭
সুজন চক্রবর্তী, আসাম (ভারত) প্রতিনিধি :: মদের নেশায় বন্দুক নিয়ে খেলা দেখাতে গিয়ে চরম বিপদ। বন্ধুর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বন্ধুরই