মোমেন ও সেলিনার নেতৃত্বে হেলেন-জুয়েল ও কয়েছের অপকর্ম (ভিডিও)

হেলেনের সাথে জুয়েল-কয়েছের কি সম্পর্কে ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্ষমতা ধরে রাখতে যখন মরিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ঠিক সেই সময় সিলেটসহ সারা দেশে ক্ষমতাসীনদের চলছিলে অস্ত্রের মহড়া। ঠিক সেই সময় আন্দোলন দমনে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা লীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকে মাঠ দখলের নির্দেশনা দেয়। এই নির্দেশনার পর ক্রমাগত ভাবে সিলেটে পুলিশের পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দমনে রাজপথে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন সংগঠনের ক্যাডাররা।

সেই আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে দমানোর জন্য আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের পাশাপাশি সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হেলেন আহমেদের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর।

হেলেন আহমদের বিরুদ্ধে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ। সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও তার স্ত্রী মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা মোমেনের আস্থাবাজন হওয়া হেলেন আহমেদ ক্ষমতা অপব্যবহার করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ড. মোমেনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল ও এডভোকেট মিছবাহুল ইসলাম কয়েছকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়েছেন।

হেলেন আহমদ ড. মোমেন ও তার স্ত্রীর সুবিধা নিতে তাদের দু’জনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে জুয়েলকে নিয়োগ প্রদান করেন। হেলেন-জুয়েল বিগত সময় গুলোতে সাবেক পররাষ্ট্র ড. মোমেনের সকল রাষ্ট্র সফরে সাথে ছিলেন। হেলেন-জুয়েল মিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাকাকালিন সময় ড. মোমেনের সিলেটের সকল অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

হেলেন-জুয়েল-কয়েছ মিলে ড. মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেনকে খুশি করতে সিলেট এয়ারপোর্ট রোডের বড়শালা মৌজার আহমদ হাউজিং এলাকা টিলা কেটে দেদারছে তৈরি হচ্ছে স্থাপনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নামে প্রতিষ্ঠিত মোমেন ফাউন্ডেশনের নামে স্থাপনা নির্মাণ করেন। ততকালিন সময়ে সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে তারা চালিয়েছেন নানা অপকর্ম।

হেলেন আহমদের সহযোগি এডভোকেট মিছবাহুল ইসলাম কয়েছ দক্ষিণ সুরমা সিটি কর্পোরেশনের ৪২ নং ওয়ার্ডের তৈয়ব কামাল এলাকায় শেখ রাসেল টেক্সটাইলের জায়গা অধিক গ্রহণ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক তার ভবন রক্ষা করে হাইওয়ে পুলিশের অফিস হিসেবে ভাড়া প্রদান করেন। সরকার পরিবর্তন হলেও কয়েছ আতাতের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। নগরীর ফরিদাবাদ এলাকায় কয়েছের রয়েছে কয়েকশত টাকা সম্পত্তি। বিগত সরকারের আমলে হেলেন আহমদকে ব্যবহার করে এডভোকেট কয়েছ অবৈধ ভাবে হয়েছে শত শত কোটি টাকার মালিক।

নানা জনের প্রশ্ন হেলেন আহমেদের সাথে জুয়েল ও কয়েছে সম্পর্কে কি? জুয়েল-কয়েছ-হেলেন মিলে প্রশাসনকে অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক ব্যবহার করে নানা ধরনের ফায়দা হাসিল করেছেন।

আর আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মে সহযোগিতা করেছেন সিলেটের কিছু দালাল সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন ভাবে তাদের দালালীর মাধ্যে এসকল অপরাধ ধামাপাচা দিয়েছেন।

আগামী পর্বে হেলেন-জুয়েল-কয়েছের সম্পর্কের পুরোপুরি বিবরণ পড়ুন:

https://www.facebook.com/reel/1066644858416663

দৈ.সি.স: এম.এন.আই (পর্ব-১)

Sharing is caring!