editor
প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০
বিশেষ প্রতিবেদক
সিলেটের সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের সরকারি জায়গা নিজ নামে এবং বিভিন্ন লোকের কাছে সরকারি জমিতে স্থাপিত দোকান কোঠা বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ১নং জলালাবাদ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি ইসলাম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন খান ও বাজার কমিটির সাবেক হিসাব রক্ষক শামসুল ইসলাম ওরফে (সোনাধন গংদের বিরুদ্ধে)।
সিলেট সদর উপজেলার ১নং জলালাবাদ ইউনিয়নের কালারুকা, নোয়াগাও, কুরিরগাও, খাশেরগাও এর স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, পুরান কালারুকা গ্রামের মৃত আরফান আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিন বিগত ১৯৯৬ইং হতে ২০০৮ইং পর্যন্ত সিলেট সদর উপজেলার ১নং জালালাবাদ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের বাজার কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, বাজার কমিটির নির্বাচন প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হলেও ইসলাম গং নিজেদের পেশিশক্তির প্রভাবে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে টানা ১০ বছর নিজেকে বাজার কমিটির সভাপতি হিসেবে স্বপদে বহাল রাখেন। বিগত ২০০৪ইং সাবেক সভাপতি ইসলাম উদ্দিন ইসলামগঞ্জ বাজারের প্রায় ৪০টি দোকান কোঠা বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যে বিক্রি করেন। যা সম্পূর্ণ আইনত অবৈধ। কারণ সরকারি খাস জায়গা বিক্রির কোন এখতিয়ার কারো নেই।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে, ইসলাম উদ্দিন, আলাউদ্দিন খান ও শামসুল ইসলাম (সোনাধন) গংরা নিজেদের অবৈধ স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাজার কমিটির নির্বাচিত স্থায়ী হিসাব রক্ষক কামাল উদ্দিন ওরফে (কাচা মেম্বার) কে তার পদ থেকে সরিয়ে ২০০৪ সালে শামসুল ইসলাম (সোনাধন) কে হিসাব রক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। তার পর থেকেই ইসলাম উদ্দিন গংরা দেড়শত টাকার স্ট্যাম্পের উপর কোন ধরনের রেজিষ্ট্রি ছাড়াই তাদের ইচ্ছামত বিভিন্ন ভুয়া দলিল সম্পাদন করে প্রায় ৪০টির অধিক দোকান কোঠা ও সরকারি খাস জমি নিজেদের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির মত বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। যা পরবর্তীতে এলাকাবাসীর নিকট প্রকাশ পায়। যার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী ও নতুন নির্বাচিত বাজার কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৬ সালের শেষের দিকে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি অডিট টিম গঠন করে ২০০১ থেকে ২০১৬ইং পর্যন্ত ইসলামগঞ্জ বাজারের সার্বিক আয়-ব্যয় এবং বর্তমান পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থায় একটি প্রতিবেদন তৈরীর দায়িত্ব দেন। আর অডিট টিমের তদন্তেই আস্তে আস্তে বেড়িয়ে আসতে থাকে থলের বেড়াল। দীর্ঘ ৩ মাসের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে বিস্তর অনিয়ম ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ।
অডিট রিপোর্ট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বাজার কমিটির সভাপতি ইসলাম উদ্দিন গংরা খাস খতিয়ানের জায়গা এসএ নকশা অনুযায়ী যার মৌজা কালারুকা, জেল এল নং ৩০, সিট নং ৪ এ ২০৮৭ দাগ সরকারি গোপাটভূমি এবং বাজারের দাগ নং ২৫১২, ২৫১৩ ও ২৫১৪ এর মূল দলিল নিজের কাছে রেখে ২০৮৭ দাগ সরকারি গোপাটভূমি ও বাজারের জায়গা রেজিষ্ট্রিবিহীন স্ট্যাম্পে বিক্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেন। একজনের নামে আনা বাজারের ইজারা অন্যজনের নামে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
ডিপি খতিয়ান ৪৮৫, হাল দাগ ৪৪১৭, সাবেক দাগ ইসলাম উদ্দিন দলিলবিহীন মাঠ পর্চা সংগ্রহ করেন। ডিপি খতিয়ান ৫২৬, হাল দাগ ৪৪০৮, সাবেক দাগ ২৫১২, ২৫১৩ এক ডেসিমেল জায়গার মাঠ পর্চা আলাউদ্দিন খান ও ইসলাম উদ্দিন দলিলবিহীনভাবে সংগ্রহ করেন।
গত ০৩/০৭/১৯৯২ইং তারিখে ইসলামগঞ্জ বাজার কমিটির নামে ইসলাম উদ্দিন উ:-দ: ২০ হাত পূ:প: ১১ হাত দাইর ও ৩ হাত বিশিষ্ট দোকান কোঠা খরিদ করেছেন বলে হিসাব রক্ষক শামসুল ইসলাম গংদের কাছে গত ০১/০৬/২০০৩ইং তারিখে হস্তান্তর করেন। যার দাগ হচ্ছে এস. এ ২৫১৪, বাজার জরিপে ৩২ (২২৫৫) উক্ত তারিখে সম্পাদিত দলিলের কোন মূল দলিল বা প্রমাণ তিনি দিতে পারেন নি।
এবং গত ২১/০৪/২০০৪ইং তারিখে ইসলামপুর বাজার কমিটির পক্ষে কালারুকা, নোয়াগাও, খাসেরগাও, কুরিরগাও এর রেফারেন্স দিয়ে ইসলাম উদ্দিন ২৫১৪, ২৫২২ এই দুই দাগে উ:-দ: ২৮ হাত ও পূ:প: ১৪ হাত দোকান কোঠা নিজ নামে রেকর্ডভূক্ত করেন। যা আইনগত বা বিধিমোতাবেক সম্পূর্ণ অবৈধ।
এমতাবস্থায় বর্তমান বাজার কমিটির সভাপতি মৌলভী নোমান আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক একাধিকবার উক্ত ঘটনাগুলোর কারণ দর্শানোর জন্য ইসলাম উদ্দিন এবং আলাউদ্দিন খানকে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু আজ অবদি ইসলাম উদ্দিন এবং আলাউদ্দিন এসব নোটিশের কোন প্রকার জবাব দেন নি।
এব্যাপারে জানতে সাবেক সভাপতি ইসলাম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই কাগজগুলো আপনাকে কে বা কারা দিয়েছে আগে তাদের নামগুলো বলেন আর আমি বেসরকারিভাবে এই দোকানগুলো বিক্রি করে বাজারের পাশে পুকুর ভরাট করে একটি মসজিদ নির্মাণ করি। আমি কোন খাস জায়গা কারো কাছে বিক্রি করিনি। এগুলো আমি অস্থায়ীভাবে দিয়েছি এবং হাই স্কুলের একটি মাঠও ভরাট করেছি। সরকারি ২০৮৭ দাগের যে জায়গায় ভবন নির্মাণ হয়েছে তা আমি করিনি এবং আমি কোন টাকা নেইনি। সম্পূর্ণ টাকা শামসুল ইসলাম (সোনাধন) এর নিকটে আছে এবং সব টাকার হিসাবও উনার কাছে আছে। আমি টানা ২ বারের মেম্বার ছিলাম। বর্তমানে আমি ক্যান্সার ও করোনা রোগে আক্রান্ত এবং অডিট সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এগুলো যারা করেছে তারা আমাকে হেয় করতে চাইছে। প্রতিবেদকের প্রশ্নের এক পর্যায়ে তিনি দোকান বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন যে, এগুলো আমি এলাকার সর্বসম্মতিক্রমে বিক্রি করি এবং বাজারের পাশে পুকুর ভরাট করে একটি মসজিদ নির্মাণ করি। যাই হোক আমি আপনার সাথে দেখা করতে পারলে খুব ভালো হতো, একসাথে বসে কথা বলতাম। আপনি যদি আমার চেহারাটা দেখতেন তাহলে, আপনি নিশ্চয় আমাকে মায়ার দৃষ্টিতে দেখতেন।
এব্যাপারে হিসাব রক্ষক শামসুল ইসলাম (সোনাধন) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন, আমি বাজার কমিটির কোন হিসাব রক্ষক নই এবং ছিলাম না। আমি এলাকার সবার অনুরোধে বাজারের পাশে ২০০৪ইং থেকে ২০০৮ইং পর্যন্ত নির্মাণের দায়িত্ব নেই। আমি শুধু মসজিদের হিসাবের দায়িত্বে ছিলাম। আমার কাছে যা টাকা এসেছে তা মসজিদের কাজে ব্যয় করি এবং সবাইকে হিসাব দেই। কিন্তু কত টাকা তিনি পেয়েছেন তার কোন স্পষ্ট হিসাব তিনি দিতে পারেননি এবং বাজার কমিটির নোটিশের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন খানের সাথে যোগাযোগ করে তিনি বলেন, আমি সভাপতি ইসলাম উদ্দিনের কথায় দোকান বিক্রির রেজিষ্ট্রিবিহীন দলিল করি। কারণ দলির না থাকলে আমিন আমাদের জায়গার রেকর্ড দেবে না এইজন্য আমরা রেজিষ্ট্রিবিহীন দলিল সম্পাদন করি। আমি মাত্র এক বছর (২০০৪ইং) বাজারের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। আর বর্তমান বাজার কমিটির নোটিশের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। প্রতিবেদকের প্রশ্নের এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তিনি যা করেছেন ভুল করেছেন সরকার জায়গা কেউ বিক্রি করতে পারে না, আমি না জেনে সভাপতির কথায় এ কাজগুলো করেছি এবং দোকান বিক্রির সব টাকা শামসুল ইসলাম (সোনাধন) ও সভাপতির কাছে জমা আছে।
এ ব্যাপারে জানতে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, এই অভিযোগটি আমি পূর্বেই পেয়েছি। বাজারে একটি অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে গিয়ে তা সরেজমিনে দেখতে পাই। সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বাজার কমিটির মূল কাজ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা। কিন্তু এ ধরনের কোন আইন বা এখতিয়া নেই যে, বাজার কমিটি ভূমি বিক্রি করতে পারবে। আমি স্বশরীরে গিয়ে নিষেধ করে এসেছি এই বাজারে যাতে আর কোন ধরনের জায়গা-জমি বেচাকেনা না হয়। বর্তমানে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। আমি উপ সহকারি ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি সম্পূর্ণ সার্ভেয়ার সহ বাজারের বর্তমান অবস্থা তৈরি করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আমার কাছে দেওয়ার জন্য। প্রতিবেদনের কাজ চলছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণ পেলে পূর্বে বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. সামছুল ইসলাম,(জুড়ী): মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সুজানগর আইডিয়াল মাদরাসায় পল্লী বিদ্যুৎতের বড়লেখা জোনালে প্রথম নেট মিটার স্থাপন করা
লাখাই প্রতিনিধিঃ লাখাই উপজেলার স্বজনগ্রাম গুপ্তহাটি সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপ, রাঢ়িশাল দাসপাড়া সার্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ বুল্লা মহামায়া যুব সংঘ সর্বজনীন পূজা
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, আনন্দঘন পরিবেশে থাকতেই শিশুরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শাসন, নিয়ন্ত্রণ,
অনলাইন ডেস্ক বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ফলপ্রসূ বৈঠক
সিলেট চেম্বার ও মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন কমিটিতে স্থান দিয়ে ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ ও তার ভাতিজা ফখর উস সালেহিন
বিভিন্ন সংবাদপত্রে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সিলেট এর কমিটি পুনর্গঠনের সংবাদ দেখে বিস্মিত হয়েছেন কমিটির একাধিক কর্মকর্তা। শনিবার এক বিবৃতিতে তারা
দক্ষিণ সুরমার ২৭নং ওয়ার্ডের শিববাড়ি মহামায়া পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। শনিবার (১২