editor
প্রকাশিত: ১১:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০২০
প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছিল। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ছেলে ও মেয়েদের অংশগ্রহণ প্রায় সমান হয়েছিল। শিক্ষার মাঝখানে ঝরে পড়ার হারও অনেক কমেছিল। কিন্তু সব হিসাব যেন উল্টে যেতে শুরু করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ নেই বললেই চলে। সংসদ টিভি বা অনলাইনে সীমিত পরিসরে যেসব পাঠক্রম পরিচালিত হয় বস্তি এলাকা বা গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরই সেই শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। তদুপরি অভিভাবকদের আয় কমে যাওয়ায় অনেক শিশুকেই এখন উপার্জনের কাজে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আবার স্কুল খুলবে তা এখনো অনিশ্চিত। স্কুল খুললেও অনেক শিক্ষার্থী আর স্কুলে ফিরবে কি না সন্দেহ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্যাপক হারে ঝরে পড়া রোধে দ্রুত বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দারিদ্র্য, বাল্যবিয়ে ও আবাসস্থল ত্যাগ শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার প্রধান কারণ। বাংলাদেশে ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছিল। করোনার কারণে এই হার ৪০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। সম্প্র্রতি পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির প্রভাবে শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে ৮২ শতাংশ আর গ্রামাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে ৭৯ শতাংশ। এই অবস্থায় জীবিকার প্রয়োজনে অভিভাবকরা সন্তানদের উপার্জনমূলক বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে। এরপর এই শিশুরা আর কখনো শিক্ষাজীবনে ফিরবে কি? শুধু প্রাথমিক বা মাধ্যমিকেই নয়, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী টিউশনি বা অন্য কোনো উপায়ে উপার্জন করে নিজেদের শিক্ষার খরচ চালাত, তাদেরও শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবার সংসদ টেলিভিশন বা অনলাইন ক্লাসের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যও তৈরি হচ্ছে। সংসদ টেলিভিশন দেখতে ডিশ সংযোগ থাকতে হয়। ডিশ সংযোগ কেন, বস্তি বা গ্রামাঞ্চলের অনেক দরিদ্র পরিবারে টেলিভিশনই নেই। আবার মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ কিনে ক্লাস করার সক্ষমতাও নেই অনেকের। ফলে শহরাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারের সন্তানদের তুলনায় দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে। এ ছাড়া শহরাঞ্চলের নামিদামি স্কুলগুলো নিজেরাই জুম, গুগলসহ নানা মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। শিক্ষকরা ভাগ ভাগ করে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলো তা করতে পারছে না। ফলে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। এসব কারণেও ঝরে পড়ার হার বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকার এরই মধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সরকারের উদ্যোগ আরো বাড়াতে হবে। স্কুল ও বই-খাতার পেছনে দরিদ্র পরিবারগুলোকে যেন কোনো খরচ করতে না হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। উপবৃত্তির পরিমাণ ও পরিধি আরো বাড়াতে হবে। ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকদের বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে।
কখনো শফিকুর রহমানের ঘনিষ্ট কখনো হাবিবুর রহমানের ভাগ্না পরিচয়ে গত ১৬ বছর রাগিব রাবেয়া ডিগ্রি কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, পতিত আওয়ামীলীগ দেশের
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের কাজিরখলা এলাকায় অবস্থিত সিলেট পলিটেকনিক্যালের ৭০ বছরের পুরাতন দেয়াল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে
অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। না হলে আন্দোলনে নামার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীটুলা এলাকার কৃতিসন্তান মাহমুদুর রহমান।
শ্রমিক মজলিস সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার পরামর্শ পরিষদের ১ম অধিবেশন রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৩টায় সিলেট নগরীর হাওয়াপাড়াস্থ একটি
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত নয়, সংস্কার চাই”- এই দাবিকে সামনে রেখে সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সোমবার (১৯ মে)
শাহপরান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তর্গত ২০ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে নবগঠিত শাহপরান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের মতিবিনিময়