editor
প্রকাশিত: ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
প্রকল্পের কাজ পাওয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার ঘটনা উদ্ঘাটিত হয়েছে। জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ঢাকা ওয়াসার ‘ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের’ ৩৭৫ কোটি টাকার কাজ পাওয়ার জন্য তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসায় দরপত্র জমা দেয়, যাদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর অভিন্ন।
অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠানই তিন নামে দরপত্র জমা দিয়েছে। এ প্রতারণা ছাড়াও আরও কিছু অনিয়ম তারা করেছে আর তা বেরিয়ে এসেছে খোদ এডিবিরই অনুসন্ধানে। দাতা সংস্থাটির দুর্নীতিবিরোধী ও সততার নীতি বরখেলাপ হওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে ৬ মাস এবং পরে ৩ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ফলে তারা এ সময়ের জন্য এডিবির কোনো প্রকল্পের কাজে অংশ নিতে পারবে না।
দেশে দরপত্র নিয়ে এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি নতুন নয়। বস্তুত উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে কার্যাদেশ দেয়া পর্যন্ত নানা ধরনের কারসাজি হয়ে থাকে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঠিকাদারিতে ই-টেন্ডারিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে সেখানেও ঢুকে পড়েছে দুর্নীতি। এই দুর্নীতির ধরন হচ্ছে- ঠিকাদাররা ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্র যুক্ত করে, ভুয়া প্রশংসাপত্র জুড়ে দেয়, ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টি দেখায়, ভঙ্গ করে চুক্তির মৌলিক শর্ত।
দুর্নীতিবাজ ঠিকাদাররা চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করে না, ভঙ্গ করে সরকারি ক্রয় আইন ও বিধি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারদের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার করতে বহু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। শাস্তি হিসেবে এদেরকে কাজ দেয়া হচ্ছে না। তবে আমরা মনে করি, কালো তালিকাভুক্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের শুধু কাজ থেকে দূরে রাখাটাই যথেষ্ট নয়, তাদেরকে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় আনা দরকার। আর এ ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি হওয়া প্রয়োজন।
গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধ’ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে- অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ১০ খাতে দুর্নীতি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় দরপত্র প্রক্রিয়ায়। যেসব কারণে দরপত্র প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয় তার মধ্যে রয়েছে- যথাযথভাবে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করা, অপছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেয়া, অস্বাভাবিক মূল্যে প্রাক্কলন তৈরি, ছোট ছোট প্যাকেজে প্রকল্প প্রণয়ন এবং দরপত্রের শর্ত উপেক্ষা করা।
কাজ পাওয়ার জন্য কোনো কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নানা রকম অনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে থাকে। বস্তুত ঠিকাদারি খাত দুর্নীতির একটি বড় জায়গা। এ খাত থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে পারলে দেশের সার্বিক দুর্নীতির অনেকটাই দূরীভূত হবে। এজন্য কালো তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানই যাতে ভবিষ্যতে কাজ না পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দুদক বিষয়টিতে এগিয়ে আসতে পারে। তালিকার নাম ধরে ধরে দুদক যদি তদন্ত করে, তাহলে দুর্নীতির আরও বড় চিত্র উঠে আসতে পারে। ঢাকা ওয়াসার প্রকল্পের কাজ পাওয়ার জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুধু এডিবির প্রকল্পে নয়, দেশের কোনো প্রকল্পেই যেন কাজ না পায়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সিলেটের সময় :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডে মদিনামার্কেট এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় ও পথচারীদের মধ্যে ইফতার বিতরন করেন সিলেট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের সকল মতের ও পথের দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের
রাস্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, অতীতে যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে তারা কেবল
সিলেট লায়ন্স ফাউন্ডেশন (এসএলএফ) এর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার সিলেট নগরীর নাইওরপুলস্থ একটি অভিজাত হোটেলের
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত নারকীয় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, গাজার মুসলমানদের গনহত্যায় ইসরায়েলের পাশাপাশি মুসলিম শাসকরা দায়ী। এদের নেফাকি
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর গণহত্যা ও ভারতের মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক