Daily Sylheter Somoy
প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২০
দেশব্যাপী ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমানের পরিচালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজনের সম্পাদক এডভোকেট শাহ সাহেদা। সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত দাবিগুলো তুলে ধরেন শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম।
আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন সভাপতি সৈয়দ সাইদুল ইসলাম দুলাল, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার এর সদস্য সচিব লক্ষী কান্ত সিংহ, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস জার্নালিস্ট কমিশনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বাবলু, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, সুজন এর সদস্য ইউসুফ আলী, এডভোকেট নুসরাত হাসিনা সম্পা, এড. জাকিয়া জালাল, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এড. হুমায়ূন রশীদ সোয়েব, সুজন সদস্য গাজী কামাল, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পিযুষ রঞ্জন পুরকায়স্থ টিটু, সুজন সহ-সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, গ্রীন ভিলেজ ক্লিন ভিলেজ এর আহ্বায়ক রোটা. ইকবাল হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, এড. সৈয়দ কাওছার আহমদ, প্রকৌশলী সেতু কুমার বড়ুয়া, ইসলাম উদ্দিন, সুজনের কোষাধ্যক্ষ এ. মুহিদ চৌধুরী, মোজাহিদ আহমদ, প্রধান শিক্ষক বিলাল আহমদ, মুফতি সাদিকুর রহমান ইয়ামানী, ভূমি সন্তান আশরাফুল কবির, সাংবাদিক কামকামুর রাজ্জাক রুনু, বৃক্ষছায়া শহীদ আহমেদ খান, মানবাধিকার কর্মী দেলোয়ার আহমদ, ফজলুর রহমান শিপু, ইমাম উদ্দিন কামাল, রাজীব চাকমা, বুশরা জাহান, পপি বেগম, দুর্জয় রায়, মুজাহিদুল ইসলাম, বদরুদ্দোজা বদর, আলী মাহমুদ, তাসিম চৌধুরী প্রমুখ।
যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে মানববন্ধনে নানা দাবি উত্থাপন করে সুজন। পারিবারিক সুশিক্ষা, ভিক্টিমকে দোষারোপ করার সংস্কৃতি হতে বের হওয়া, নারীবান্ধব বিচারিক প্রক্রিয়া, ধর্ষণ আইনের সংস্কার ও সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করণ, দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা, পরিবার ও সমাজে শিশু ও নারীর সমান সুযোগে তৈরি করা ও নারীর প্রতি বৈষম্য কমানো, আইনের শাসন নিশ্চিত করা ও এ ধরণের অপরাধীদের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা, স্বল্প সময়ে বিচার শেষ করা, ভিক্টিমের জন্য নারীবান্ধব থানা এবং বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু করা। বিশেষ করে আমাদের সরকারের যে ৯৯৯ (জাতীয় জরুরী সেবা) ও ১০৯ (নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেল) এর তথ্য সকল স্কুল-কলেজসহ সাইনবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করা। প্রয়োজনে নারী পুলিশের বিশেষ টিম এই হটলাইনগুলোকে প্রমোট করতে স্কুল-কলেজ ও প্রত্যন্ত এলাকাতে কাজ করতে পারেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ জেন্ডার ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করা। এ জাতীয় নারী নীতি ২০১১ ও সিডো সনদ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা। স্কুল-কলেজসমূহে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী সেক্স এডুকেশন প্রবর্তন করা।
নির্যাতিতা নারীদের জন্য (যেমন- রেপ সারভাইভার এবং এসিড সারভাইভারদের) সরকারি উদ্যোগে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে ভিক্টিমদের জন্য শেল্টার হোমের ব্যবস্থা করা যেখান থেকে তারা একটি কমপ্রিহেনসিড সেবা, যেমন, তার চিকিৎসা, মনোসামাজিক কাউনসেলিংসহ আইনগত সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি জেলা শহরে সব ধরণের ভিক্টিমদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিশেষ মনোসামাজিক কাউনসেলিং ও আইনি সেবার ব্যবস্থা করা। প্রতিটি স্কুলে কাউনসেলার নিয়োগ করা বা শিক্ষকদেরকে কাউনসেলিং প্রশিক্ষণ প্রদান করে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা। আকাশ সংস্কৃতি ও ইন্টারনেটের আগ্রাসন হতে আমাদের সমাজকে রক্ষা করা। ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। নিপীড়নের ভিডিও ভাইরাল করা ধর্ষকদেরকে চিহ্নিত করা ও নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা। ধর্ষণ, এসিড মামলাসহ যাবতীয় নারী নির্যাতনের আসামিদেরকে জামিন অযোগ্য অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা যৌন সন্ত্রাসীদের দ্বায়ভার নিতে হবে সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠপোষকদেরকে, তারা কোনভাবেই বিচারের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না। এই দানবদের দমনের উদ্যোগ নিতে হবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে। ভিক্টিম নয়, ধর্ষককেই প্রমাণ করতে হবে, তিনি নির্দোষ এবং গণধর্ষণসহ নারকীয় নারী নির্যাতনমূলক অপরাধের আসামির পক্ষে কোনো বিবেকবান আইনজীবী যদি না দাঁড়ান, তাহলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি শুধু নারী নিপীড়কদের জন্যই নয়, তাদের পোশাক, প্রশ্রয়দাতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে পাশ্চাত্যের ন্যায় নারী নির্যাতনকারী পুরুষদের আচরণ পরিবর্তনের জন্য পুরুষ সংশোধনাগার সেন্টার স্থাপন করা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ (জকিঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে নির্বাচনী এলাকা থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট ও
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমাদের একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে, নিজস্ব আইন কানুন আছে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তৃণমূল রাজনীতিতে পরীক্ষিত নেতাযুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য, যুক্তরাজ্য হিউম্যান রাইটস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সাবেক
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক উৎফল বড়ুয়া’র সন্তান সীমান্ত বড়ুয়া জয় ও সেতু বড়ুয়া মুক্তার
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী (মুজিব শতবর্ষ) উপলক্ষে সিলেটে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার সংগৃহীত
জেলা পয্যায়ে (পিপিপি) প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা প্রধানমন্ত্রী দেশকে যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছেন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের পূর্বেই আমরা
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের